রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের ফেরদৌস, অনিক হাসান, জয়নালসহ বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধব ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আসছিলেন। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকলেও বিজয় সরণি পর্যন্ত আসতেই তাদের বাস থেকে নেমে পড়তে হয়। বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট যানজটের কারণে বাস আর সামনের দিকে যাচ্ছে না।
Advertisement
রাজধানীর গুলিস্তান থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আসছিলেন সিএনজি চালক হাফিজ। শনিবার হওয়ায় খুব একটা যানজটের মধ্যে পড়তে হয়নি তাকে। তবে তিনি বলেন, ‘বিজয় সরণিতে আসতেই জ্যামে পড়ছি।’
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার রাজধানীর রাস্তাগুলোতে তীব্র যানজট সাধারণত থাকে না। তবে বাণিজ্য মেলা শুরুর পর থেকে মেলার আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজট। মেলা শুরু থেকে এ পর্যন্ত চালক, যাত্রী ও দর্শনার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
যাত্রী, চালক ও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর ছাড়াও বাণিজ্য মেলা সংলগ্ন এলাকায় শুক্র ও শনিবার রাজধানীর অন্য রাস্তাগুলোর মধ্যে থাকতো অনেকটা ফাঁকা। তবে ৯ জানুয়ারি মেলা শুরুর পর থেকে সাপ্তাহিক ছুটির এই দু’দিন তীব্র যানজট তৈরি হচ্ছে। কখনও কখনও আগারগাঁও মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র পার হতে লাগছে ঘণ্টারও বেশি সময়। মেলা শুরু হয় সকাল ১০টা থেকে। মেলা শুরুর আগ থেকে যানজট বাড়তে থাকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা তীব্র হয়।
Advertisement
সাপ্তাহিক ছুটির এই দু’দিন ছাড়াও বাকি পাঁচ দিনও সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যানজট থাকছে বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে। বিকেলে এর মাত্রা তীব্র হয়েছে প্রতিদিনই। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
ফলে মেলার দর্শনার্থী ছাড়াও বিজয় সরণির রাস্তার যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাস না পেয়ে, যানজটের কারণে যাত্রী ও মেলার দর্শনার্থীদের দীর্ঘ রাস্তা হাঁটতে হচ্ছে।
এ দিকে ২৭ জানুয়ারি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আপাতত আগারগাঁওয়েই হবে। পূর্বাচলে (রূপগঞ্জ) মেলা হবে, তবে তা বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে।’
এ রকম পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীদের আশঙ্কা, তাদের এই ভোগান্তি সামনের বছরগুলোতেও হয়তো থাকবে।
Advertisement
পিডি/জেএইচ/জেআইএম