দেশের সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পর আসে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র!
Advertisement
আবুধাবি বাংলাদেশ স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে উপস্থিত সাংবাদিক ও অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘পরীক্ষা শুরু হয় ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে, ৩০ মিনিট পর কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে তা পরিবর্তন করে ২০১৯ সালের প্রশ্ন দেয়া হয়।’
প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করলেও সময় অপরিবর্তিত থেকে যায়। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, কেবলমাত্র দূতাবাসের কর্মকর্তার ছেলেকে ৩০ মিনিট বাড়িয়ে দেয়া হয়। ফলে শিক্ষাঙ্গনে পরীক্ষার্থী ও উপস্থিত অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেককেই অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে হট্টগোল করতে দেখা যায়।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪২ ও দুবাই কন্সুলেটের তত্ত্বাবধানে রাস-আল-খাইমা বাংলাদেশ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২৭ জন শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
Advertisement
এদিকে, আবুধাবি শেখ খলিফা বাংলাদেশ ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মীর আনিসুল হাসানের কাছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কত জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। হলে সাংবাদিকদের প্রবেশে গড়িমশি করেন। পরে অধ্যক্ষ ৪২ জন পরীক্ষার্থী এবারে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন বলে লিখিত জানালেও পরীক্ষা শেষ হওয়ার পনের মিনিট আগে আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত ডাক্তার মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে সাংবাদিকরা হলে প্রবেশ করে দেখতে পান ৩৯ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি কৌশলের আশ্রয় নেন। এ সময় দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর শহিদুজ্জামান ফারুকী, আমিরাত বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন অধ্যক্ষের অফিস কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষের কাছে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে বিষয়টি খেয়াল করা হয়নি কিন্তু পরে নজরে আসলে প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বলে জানান। পরীক্ষার্থীদের মাঝে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান, তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন এই প্রতিবেদককে।
Advertisement
এমআরএম/জেআইএম