পায়ের ব্যবস্থা হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সামির উদ্দিনের। সেন্টার ফর দি রিহ্যাবিলিটেশন অফ দি প্যারালাইজড (সিআরপি) নামের একটি সংস্থা তার পায়ের ব্যবস্থা করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
Advertisement
সংস্থাটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তার পা সংযোজন করে দেবে বলে জানান তিনি।
তাকে নিয়ে আগের সংবাদটি পড়ুন : ৯৫ হাজার টাকা হলেই দু’পায়ে দাঁড়াবে সামির
সামির জানান, আমার কৃত্রিম পা সংযোজন নিয়ে গণমাধ্যমে বেশ কিছু প্রতিবেদন হয়। প্রতিবেদনটি দেখে রাজশাহীর সেন্টার ফর দি রিহ্যাবিলিটেশন অফ দি প্যারালাইজড (সিআরপি) নামের একটি সংস্থা আমাকে কৃত্রিম পা কিনে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা আমাকে কৃত্রিম পা লাগিয়ে দেবেন। সংস্থাটির প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
Advertisement
তিনি জানান, এর আগে ২০১২ সালে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন জমিতে কাজ করতে গিয়ে আমি একটি পা হারাই। এরপর ২০১৬ সালে একটি সংস্থা থেকে আমাকে কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। এরপর থেকে কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে খুব কষ্টে চলাফেরা ও পড়ালেখা করে আসছি। এই কৃত্রিম পায়ের কার্যকারিতা ছিল ৩ বছর। যা ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে সিআরপি সংস্থার পক্ষ থেকে পায়ের ব্যবস্থা হলেও এখনও পড়ালেখার খরচ চালানোর কোনো ব্যবস্থা হয়নি বলে জানান সামির। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়ালেখার খরচ কীভাবে পরিচালনা করবেন সেটা নিয়ে সংশয়ের কথা জানান তিনি।
সামির জানান, আমার বাবা একজন দিনমজুর। তার পক্ষে আমার পড়ালেখা চালানো সম্ভব ছিল না। টিউশনি ও অন্যের জমিতে কাজ করেই আমি পড়ালেখা করতাম। কিন্তু পা হারানোর পর থেকে সেটিও আমার জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সামিরের পাশে দাঁড়ানো এবং আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য আশ্বাস দেয়ায় প্রতিমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
Advertisement
সামিরের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায়
সালমান শাকিল/এমএএস/এমকেএইচ