কুমিল্লায় এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পৌনে এক ঘণ্টা পর একটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মাঝে রচনামূলক (সৃজনশীল) প্রশ্ন বিতরণ করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার জেলার দেবিদ্বার উপজেলার দুয়ারিয়া এজি মডেল একাডেমি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। প্রথমদিনে এই কেন্দ্রে সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৭৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
এই কেন্দ্রের একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, শনিবার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষার জন্য বোর্ড থেকে উপজেলা প্রশাসনে ৪নং সেটের (গাঁদা) রচনামূলক প্রশ্ন কেন্দ্রে বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু প্রশ্নের প্যাকেটে ৪নং সেট না থাকায় বিপাকে পড়ে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে কেন্দ্রে পৌঁছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা।
পরে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে প্রায় ৪০ মিনিট পর বিতরণ করে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা কেন্দ্রের মূল ফটকে জড়ো হন।
Advertisement
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবীন্দ্র চাকমা ও কেন্দ্র সচিব মো. আবু সেলিম ভূইয়া শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত সময় দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলে অভিভাবকরা শান্ত হন।
বিষয়টি স্বীকার করে দুয়ারিয়া এজি মডেল একাডেমির অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব মো. আবু সেলিম ভূইয়া বলেন, সকালে প্রশ্ন আনতে গিয়ে আমাদের কেন্দ্রে প্রশ্নের প্যাকেটে প্রশ্ন কম মনে হলে বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাই। তখন তিনি কেন্দ্রে এসে প্যাকেট খুলতে বলেন। কেন্দ্রে এসে প্যাকেট খুলে দেখতে পাই প্রশ্নের যে ৪নং সেটে সৃজনশীল পরীক্ষা নেয়ার কথা সেই সেট আমাদের প্যাকেটে নেই। ততক্ষণে পরীক্ষার্থীরা ৩০ মিনিটের ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা শেষ করে নেয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে সৃজনশীলের (রচনামূলক) প্রশ্ন সংগ্রহ করে দিলে বিলম্বে পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এজন্য তাদের অতিরিক্ত ৪৫ মিনিট সময় দেয়া হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবীন্দ্র চাকমা বলেন, শনিবার বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা ছিল। কিন্তু দুয়ারিয়া এজি মডেল একাডেমি কেন্দ্রে বোর্ড নির্ধারিত প্রশ্নের ৪নং সেট না থাকায় পরীক্ষা নিতে বিলম্বিত হয়। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন বলেন, কোন সেটে পরীক্ষা হবে সেই বার্তা আমরা বোর্ড থেকে প্রথমে জেলা প্রশাসককে জানানোর পরে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সর্বশেষ কেন্দ্র সচিব পর্যন্ত পৌঁছে। কিন্তু কার ভুলে কিংবা অবহেলায় কেন্দ্রে নেয়া প্যাকেটে নির্ধারিত সেটের প্রশ্ন ছিল না, তা তদন্ত করতে বোর্ড থেকে একটি কমিটি দেবিদ্বারে গেছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা রিপোর্ট দেয়ার পর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে এই বিলম্বের জন্য পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তাদের অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়েছে।
Advertisement
মো. কামাল উদ্দিন/এএম/এমকেএইচ