এলাকায় তিনি পরিচিত ‘পাগলা বাবা’ নামে। আর তার ইচ্ছেও যেন ঠিক সেই ধাঁচেরই। নিজের সাধনার জন্য নরবলি দিতে সরাসরি সরকারের কাছেই আবেদন পাঠিয়ে আলোচনায় এসেছেন এক তান্ত্রিক! এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যের বেগুসরাই এলাকায়।
Advertisement
ভারতীয় একটি গণমাধ্যম বলছে, বেগুসরাইয়ের মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা তান্ত্রিক সুরেন্দ্রপ্রসাদ সিংহ এলাকার এসডিও’র কাছে একটি আবেদনপত্র পাঠিয়েছেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, তার আরাধ্যা দেবীকে সন্তুষ্ট করতে নরবলির প্রয়োজন। তাকে যেন এই কাজের অনুমতি দেয়া হয়।
‘পাগলা বাবা’র মতে, নরবলি কোনো অপরাধ নয়। আর তিনি নিজের ছেলেকেই বলি দিতে চান। তার পুত্র পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পাগলা বাবা লিখেছেন, তন্ত্রসাধনা করেন তিনি। নিজের মন্দির বানানোর জন্য টাকা যোগাড় করছেন। সব কাজ যাতে দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে হয় সেজন্য বলি দেয়ার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন : কলকাতা বইমেলার সর্বনাশ করা হয়েছে : তসলিমা
Advertisement
‘তান্ত্রিক মতে সর্বপ্রথম নিজের ছেলেকেই বলি দিতে চান এবং মানুষ বলি যে কোনো পাপ কাজ নয় তার বিবরণ দিয়ে তাই আগেভাগেই পুলিশের অনুমতি চেয়ে রাখছেন।’
পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম সুরেন্দ্র প্রসাদ সিংহ। মোহনপুর পাহাড়পুর গ্রামের বাসিন্দা। ঝাড় ফুঁক, তন্ত্র সাধনার জন্য এলাকায় তার নাম রয়েছে। স্থানীয়রা ডাকেন ‘পাগলা বাবা।’ প্রায়ই তাকে নানা আজগুবি কাজ করতে দেখা যায়। কখনও নগ্ন হয়েই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন, আবার কখনও মাথায় খুলি চাপিয়ে মন্ত্র আওড়াতে আওড়াতে রাস্তা দিয়ে হাঁটেন।
আরও পড়ুন : শতভাগ নিরাময় হবে ক্যানসার
পুলিশের অনুমতি ছাড়াও তান্ত্রিক সুরেন্দ্র সংবাদ মাধ্যমের কাছে একটা ভিডিও ক্লিপও পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘তন্ত্র মতে মানুষ বলি মোটেও খারাপ কাজ নয়। কামাখ্যায় আমি বলি দিতে যাচ্ছি। আমার ছেলে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। ও এইসব বিশ্বাস করে না, মন্দির তৈরির জন্য টাকাও দিতে রাজি নয়। তাই ছেলেকেই আগে মায়ের কাছে উৎসর্গ করবো।’
Advertisement
এসআইএস/এমকেএইচ