চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ (কেন্দ্রীয় কমিটি)। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার দাবিতে ‘কর্মের হাত ৩০-এর শিকলে বাঁধা’ কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়।
Advertisement
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে এক কোটি ৫০ লাখ উচ্চ শিক্ষিত বেকারের তিন কোটি হাতকে বয়সের রশিতে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাদের বাঁধন খুলে দেন, হাতে কর্ম দেন, দেশ উন্নতির স্বর্ণ শিখরে আহরণ করবে। বর্তমান সংসদের চলতি অধিবেশনে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫-এর বাস্তবায়ন চাই।
বক্তারা আরও বলেন, সারাদেশের উচ্চ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ২০১২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ঢাকাসহ সব জেলায় সরকারি চাকরির আবেদনের সময়সীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ন্যূনতম ৩৫ করার দাবিতে অহিংস, অরাজনৈতিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছে। আমাদের বর্তমান রাষ্ট্রপতি স্পিকার থাকাকালীন অর্থাৎ ২০১২ সালের ৩১ মে নবম জাতীয় সংসদে ৭১ বিধিতে জনগুরুত্বসম্পন্ন নোটিসের ওপর আলোচনার সময় ৩৫-এর পক্ষে মত দেন। নবম জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে দশম জাতীয় সংসদ পর্যন্ত ১০০ বারের বেশি বিষয়টি উত্থাপিত হয়। কিন্তু তা এখনও ঝুলে আছে।
সারাদেশে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে বক্তারা আরও বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির পাঁচবারের সুপারিশের পরও দাবিটি ঝুলে আছে। অনতিবিলম্বে যদি দাবি বাস্তবায়ন না হয়, তবে সারাদেশব্যাপী আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
Advertisement
‘একাডেমিক পড়া শেষ করে চাকরির পরীক্ষার জন্যও বাড়তি পড়াশোনা করতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পদ খালি থাকা সত্ত্বেও সময় মতো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় না। বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, ক্ষমতায় এসেই বয়সসীমা বৃদ্ধি করবে। বিগত সাত বছর ধরে আন্দোলন করে আমাদের বয়সসীমা ৩৫-এর দ্বারপ্রান্তে। আরও কয়েক বছর আগে এটি বাস্তবায়ন হলে এমনটা হতো না।’
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম এ আলী সদস্য নাসির আহমেদ, নাদিয়া সুলতানা, মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
এএস/এমএআর/আরআইপি
Advertisement