দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে মাত্র ৬৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষের দ্বিতীয় সাক্ষাতে সে ম্যাচের বদলা নেয়ার সুযোগ ছিলো ইমরুল কায়েসের দলের সামনে। কিন্তু কুমিল্লাকে সে সুযোগ না দিয়ে প্রথম সাক্ষাতেরই পুনরাবৃত্তি করে রংপুর।
Advertisement
তবে এ ম্যাচে আগেরবারের ৬৩ রানকে ছাড়াতে পেরেছে কুমিল্লা। শেষদিকের ব্যাটসম্যানদের কল্যাণে অলআউট হওয়ার আগে ৭২ রান করতে পেরেছে তারা। কুমিল্লার বিপক্ষে দ্বিতীয় জয় তুলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠতে রংপুরের প্রয়োজন ৭৩ রান।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা। বল হাতে নিয়ে শুরু থেকেই কুমিল্লার ব্যাটসম্যানদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকেন রংপুরের বোলাররা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তামিম ইকবালের (০) উইকেটসহ মেইডেন নেন নাহিদুল ইসলাম।
নিজের পরের ওভারেই আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়কেও(৫) ফেরান নাহিদুল। চতুর্থ ওভারে উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন মাশরাফি। পরপর দুই ওভারে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল কায়েস(০) এবং থিসারা পেরেরাকে(৩)। মাঝে চতুর্থ ওভারে শামসুর রহমানের(১২) উইকেট নেন শহীদুল ইসলাম।
Advertisement
ষষ্ঠ ওভারে মাত্র ২৩ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে যান পাঁচ ব্যাটসম্যান। সেখান থেকে খানিক প্রতিরোধ গড়েন লিয়াম ডসন এবং জিয়াউর রহমান। ২ চারের সঙ্গে ১ ছয়ের মারে ইনিংস সর্বোচ্চ ২১ রান করেন জিয়া। তাদের ৩৩ রানের জুটি ভাঙেন রবি বোপারা।
পরে কুমিল্লা লেজ মুড়িয়ে দেয়ার কাজটাও করেন বোপারাই। ৩ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। তবে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে সঞ্জিত সাহাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে নিজের অভিষেক ম্যাচেই ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট নিয়ে নেন লেগস্পিনার মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি।
এসএএস/এমএস
Advertisement