চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) হলে সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা মুক্তিযোদ্ধার এক সন্তানকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের শিকার এমদাদুল হক ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। মারধরকারীরা শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
Advertisement
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এমদাদুল হক হলের ৪০১ নম্বর কক্ষে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে দীর্ঘদিন হিসেবে অবস্থান করছিলেন। স্নাতকোত্তর পরীক্ষা শেষে তিনি কক্ষটি ছেড়ে দেবেন। ইতোমধ্যে কক্ষটি বরাদ্দ পেয়েছেন বিপিএড কোর্সের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম। কিন্তু শুক্রবার হলটিতে অবৈধভাবে দখল করতে যায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। বিষয়টি হলের ছাত্রলীগের এক সিনিয়র নেতাকে অবহিত করা হলেও ছাত্রলীগ কর্মীরা এমদাদুল হককে তার কক্ষে বেধড়ক মারধর করে।
খবর শুনে তার সহপাঠী ফাহিম হাসান বিষয়টি প্রক্টরকে জানান। ফাহিম যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের থেকে সম্প্রতি স্নাতোকত্তর সম্পন্ন করেছেন এবং বিপিএড কোর্সে অধ্যয়নরত।
Advertisement
এ ব্যাপারে এমদাদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও তার সহপাঠী ফাহিম হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘পরিবহন দফতরের ঝুপড়িতে অবস্থানকালে এমদাদকে মারধরের খবর শুনতে পায়। পরে প্রক্টর স্যারকে জানায়। এসময় পাশে থাকা ছাত্রলীগের কর্মীরা এটি জানতে পেরে আমাকে টেনে-হেঁচড়ে হলের সামনে নিয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন কর্মী আমাকে হলের ফটকে মারধর করে।’
শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদ রাত পৌনে ৯টার দিকে জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে জেনেছি। খোঁজ-খবর নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’
প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘মারধরের বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আব্দুল্লাহ রাকিব/এসআর
Advertisement