সরকারি প্রকল্পের পরিচালকরা এখন থেকে প্রকল্প এলাকায় অবস্থান না করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।মঙ্গলবার বিকেলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি একথা জানান।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালকরা প্রকল্পের প্রাণ। তারা আন্তরিক হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। এখন থেকে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয় ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে নতুন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করবে। প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রকল্প বিষয় সংক্রান্ত তার চাকরির অভিজ্ঞতা, ওই সংক্রান্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হবে। একই সাথে যারা প্রকল্প পরিচালক হিসেবে বর্তমানে নিযুক্ত আছেন, তাদের যোগ্যতাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ জন্য খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় গাইডলাইন তৈরি করা হবে’।যেসব প্রকল্প পরিচালক প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করছেন না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ধরা যাক কোনো প্রকল্প এলাকা কুমিল্লায় অথচ প্রকল্প পরিচালক থাকেন ঢাকায়- এমনটা প্রকল্প বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্থ করে। প্রকল্প পরিচালককে অবশ্যই প্রকল্প এলাকায় থাকতে হবে। থাকার ব্যবস্থা না থাকলে আমরা তা করে দেব’।আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এখন থেকে আইএমইডিই শুধু প্রকল্প পরিবীক্ষণ করবে না, সেই সাথে স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়ও তাদের প্রকল্প নিজেরা পরিবীক্ষণ করবে। মোদ্দা কথা একটি প্রকল্প পরিবীক্ষণের জন্য একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে’।তিনি আরো বলেন, ‘ক্রয় প্রক্রিয়া সহজ করতে পিপিআর-২০০৮ কে সংশোধন করা হচ্ছে। একই সাথে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির ফরম্যাট আরো সহজ করার কাজ চলমান আছে’। বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প এর বই নিয়েও সিদ্ধান্তের কথা বলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে সবুজ পাতা, হলুদ পাতা- এসব কিছু থাকবে না। সবই হবে সাদা পাতা’।প্রকল্পের অপচয়রোধে অচিরেই ১৪০ থেকে ২০০টি প্রকল্প যা কার্যত অকার্যকর তা প্রকল্প তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য অচিরেই একনেক সভায় উত্থাপন করা হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি পহেলা অক্টোবর সব মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে চিঠি দেব। ইতোমধ্যে আএমইডি এ সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ করেছে। এখন আমরা মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে আলোচনা করে সব ঠিক করবো’। এসএ/একে/আরআইপি
Advertisement