অর্থনীতি

মেলায় অভিযোগের চেয়ে অভিযানে জরিমানা বেশি

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন প্রতারণা ও অনিয়মের জন্য দুইভাবে জরিমানা করে থাকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এর একটি হলো- ভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে। আরেকটি অধিদফতরের পরিচালিত নিয়মিত অভিযানে। এখন পর্যন্ত সংস্থাটির অভিযানে ২৮ প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে অধিদফতর।

Advertisement

এ হিসাবে অভিযোগের চেয়ে অভিযানে বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন/ স্টলকে ১ লাখ ৮ হাজার ৫০০ টাকার বেশি জরিমানা করেছে অধিদফতর। অভিযোগে যেসব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে, তার চেয়ে অভিযানে জরিমানা করার সংখ্যাও ২০টি বেশি।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা গত ৯ জানুয়ারি শুরুর পর থেকে ১ ফেব্রুয়ারি দুপুর পর্যন্ত মেলার ভোক্তা অধিদফতরের স্টল থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র উঠে এসেছে।

কোনো প্যাভিলিয়ন বা স্টল ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা করলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করতে পারেন ভুক্তভোগী। বাণিজ্য মেলায় স্থাপিত ভোক্তা অধিকারের স্টলে অভিযোগ করলে এবং তা প্রমাণ হলে জরিমানা করা হয় প্রতারণাকারী প্রতিষ্ঠানকে। সেইসঙ্গে প্রতারণার ২৫ শতাংশ টাকা দিয়ে দেয়া হয় অভিযোগকারীকে। বাণিজ্য মেলায় অভিযোগ করে এভাবে সর্বশেষ গত ২৮ জানুয়ারি ৭ হাজার টাকা পেয়েছেন শান্তানুর রহমান সজীব নামে এক ব্যক্তি।

Advertisement

অভিযোগের ভিত্তিতে জরিমানা করা ওই ১ লাখ ৪২ হাজার টাকার মধ্যে ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩৫ হাজার টাকারও বেশি অভিযোগকারীদের দিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (গবেষণাগার) প্রণব কুমার প্রামাণিক।

অভিযোগ করে ভোক্তারা টাকা পেলেও অভিযোগের ভিত্তিতে জরিমানা করার সংখ্যা ও টাকা কম। আর অভিযানে জরিমানা বেশি করেছে ভোক্তা অধিদফতর।

প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে মাসব্যাপী এ বাণিজ্য মেলা। মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল রয়েছে ৪১২টি। বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২ প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে।

পিডি/জেডএ/পিআর

Advertisement