খেলাধুলা

ব্যাটিংয়ে একমাত্র তারা মুশফিক, বোলিংয়ে রেজা-সাকিবরা

ব্যাট হাতে এবারের বিপিএলের একচ্ছত্র আধিপত্য চলছে বিদেশি ক্রিকেটারদের। রংপুর রাইডার্সের রিলে রুশো, সিলেট সিক্সার্সের নিকলাস পুরান, রাজশাহী কিংসের লরি ইভানস ও রংপুর রাইডার্সের অ্যালেক্স হেলসদের মাঝে একমাত্র তারা হয়ে জ্বলছেন চিটাগং ভাইকিংস মুশফিকুর রহীম। রান তোলায় সেরা পাঁচে আছেন শুধু একজন বাংলাদেশি, তার নাম মুশফিকুর রহীম।

Advertisement

তবে সে তুলনায় বোলিংয়ে পুরোপুরি দাপট দেখাচ্ছেন স্থানীয় বোলাররাই। উইকেট শিকারীর তালিকায় সেরা পাঁচের সবাই বাংলাদেশি। তারা হলেন যথাক্রমে সিলেট সিক্সার্সের তাসকিন আহমেদ, চিটাগং ভাইকিংসের আবু জায়েদ রাহী, রংপুর রাইডার্সের ফরহাদ রেজা, ঢাকা ডায়নামাইটসের সাকিব আল হাসান এবং রংপুর রাইডার্সের মাশরাফি বিন মর্তুজা।

টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে প্রচণ্ড রানখরায় ভুগছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সেখানে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ছিলেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিক। টুর্নামেন্টের তৃতীয় ম্যাচেই খেলেন ৩৪ রানের ইনিংস, পরেরটায় ম্যাচ জেতানো ৭৫ রানের ইনিংস। মুশফিকের ব্যাট থেকে ফিফটি আসে আসরের চিটাগংয়ের পঞ্চম ম্যাচেও।

সবমিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ১১ ম্যাচে মুশফিক ফিফটি করেছেন ৩ ম্যাচে। ৩২টি চারের সঙ্গে ১৫টি ছক্কার মারে ৩৭ গড়ে করেছেন ৩৭০ রান। অবস্থান করছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার তিন নম্বর স্থানে।

Advertisement

শীর্ষ পাঁচে মুশফিক ব্যতীত আর কেউ না থাকলেও ছয়, সাত, আট এবং দশ নম্বরে রয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাই। ছয় নম্বরে রয়েছেন ২৯৬ রান করা জুনায়েদ সিদ্দিকী, তার পরে রয়েছেন ২৭২ রান করা ইয়াসির আলি। আট নম্বর স্থানে থাকা তামিমের সংগ্রহ ২৭১ রান। বন্ধুর চেয়ে দুই ধাপ নিচে থাকা সাকিবের ঝুলিতে রয়েছে ২৬৭ রান।

অন্যদিকে বল হাতে পুরোপুরি চলছে বাংলাদেশের রাজত্ব। শীর্ষ পাঁচজন বাদেও সেরা দশে রয়েছেন আরও চারজন বাংলাদেশি বোলার। রাজশাহী কিংসের আরাফাত সানির দখলে রয়েছে ১৬ উইকেট। এছাড়া শীর্ষ দশের বাকি তিন বাংলাদেশি শফিউল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ শিকার করেছেন ১৪ উইকেট এবং কামরুল ইসলাম রাব্বির ঝুলিতে রয়েছে ১৩টি উইকেট।

ঢাকার শেষ পর্বের আগে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক

১. রিলে রুশো (রংপুর রাইডার্স) – ১১ ম্যাচে ৮৫.৬৬ গড়ে ৫১৪ রান, সর্বোচ্চ ১০০*২. নিকলাস পুরান (সিলেট সিক্সার্স) – ১১ ম্যাচে ৪৭.৩৭ গড়ে ৩৭৯ রান, সর্বোচ্চ ৭৬*৩. মুশফিকুর রহীম (চিটাগং ভাইকিংস) – ১১ ম্যাচে ৩৭.০০ গড়ে ৩৭০ রান, সর্বোচ্চ ৭৫৪. লরি ইভানস (রাজশাহী কিংস) – ১১ ম্যাচে ৩৭.৬৬ গড়ে ৩৩৯ রান, সর্বোচ্চ ১০৪*৫. অ্যালেক্স হেলস (রংপুর রাইডার্স) – ৮ ম্যাচে ৪৩.৪২ গড়ে ৩০৪ রান, সর্বোচ্চ ১০০

Advertisement

ঢাকার শেষ পর্বের আগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী

১. তাসকিন আহমেদ (সিলেট সিক্সার্স) – ১১ ম্যাচে ১৪.৬৬ গড়ে ২১ উইকেট, সেরা বোলিং ২৮ রানে ৪ উইকেট২. আবু জায়েদ রাহী (চিটাগং ভাইকিংস) – ১১ ম্যাচে ১৯.১৬ গড়ে ১৮ উইকেট, সেরা বোলিং ২৫ রানে ৩ উইকেট৩. ফরহাদ রেজা (রংপুর রাইডার্স) – ১১ ম্যাচে ১৫.৫৮ গড়ে ১৭ উইকেট, সেরা বোলিং ৩২ রানে ৪ উইকেট৪. সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডায়নামাইটস) – ১০ ম্যাচে ১৫.৬৪ গড়ে ১৭ উইকেট, সেরা বোলিং ১৬ রানে ৪ উইকেট৫. মাশরাফি বিন মর্তুজা (রংপুর রাইডার্স) – ১১ ম্যাচে ১৭.২৯ গড়ে ১৭ উইকেট, সেরা বোলিং ১১ রানে ৪ উইকেট)

এসএএস/এমএস