চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত আনতে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মাামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় ১ ফেব্রুয়ারি) এ মামলা করা হয়।
Advertisement
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন : রিজার্ভ চুরি : এখনো সক্রিয় হ্যাকাররা!
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা করা হয়েছে।’ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএফআইইউর উপদেষ্টা দেবপ্রসাদ দেবনাথও মোবাইলে খুদেবার্তা পাঠিয়ে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার মামলা করার কথা থাকলেও আইনি প্রস্তুতি শেষ না হওয়ায় শুক্রবার এ মামলা করা হলো।
Advertisement
এর আগে রোববার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় মামলার বিভিন্ন বিষয় পর্ষদে অবহিত করা হয়। এ সময় পরিচালনা পর্ষদ এ বিষয়ে সায় দেয়। পরে ওই দিন রাতেই মামলার করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ‘হোতা’ উত্তর কোরিয়ার নাগরিক
সভা শেষে বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান জানান, মামলার রূপরেখা চূড়ান্ত। আমাদের একটি টিম যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েই মামলা করবে। আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক এমন ঘটনায় মামলা করতে সর্বোচ্চ তিন বছর সময় পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন : রিজার্ভ চুরি : চলতি মাসেই মামলা
Advertisement
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৪ ফেবরুয়ারি হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সুইফট সিস্টেমে ৭০টি ভুয়া পরিশোধ অর্ডার পাঠিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হতে মোট ১৯২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার অবৈধভাবে নেয়ায় চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে একটি পরিশোধ অর্ডারে শ্রীলঙ্কায় দুই কোটি ডলার ও চারটি অর্ডারে আট কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের একটি শাখার ভুয়া গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হয়ে জুয়ার বাজারে চলে যায়। শ্রীলঙ্কা থেকে ইতিমধ্যে চুরি হওয়া সব অর্থ ফেরত এসেছে। আর ফিলিপাইনে যাওয়া অর্থের মধ্যে এক কোটি ৫০ ডলার দেশটির কোর্টের আদেশে ফেরত আনা হয়েছে। বাকি ছয় কোটি ৬৪ লাখ ডলার অনাদায়ী রয়েছে, যা আরসিবিসির কাছ থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় উদ্ধারের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, এ ধরনের ঘটনায় তিন বছরের মধ্যে মামলা না করলে তার গুরুত্ব কমে যায়।
এসআই/এএইচ/এমএস