অর্থনীতি

বেসরকারি ঋণে লাগাম, শেয়ারবাজারে ধাক্কা

সরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ানো হলেও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুদ্রানীতিতে বেসরকারি ঋণের লাগাম টেনে ধরার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। এতে এক ধাক্কায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক হারিয়েছে একশ পয়েন্টের ওপরে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বুধবর। মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। আগের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। বেসরকারি খাতে ঋণের লাগাম টেনে ধরা হলেও সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ ধরা হয়েছে। আগের মুদ্রানীতিতে সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫ শতাংশ।

মুদ্রানীতি ঘোষণার পরপরই দেশের শেয়ারবাজারে দেখা দেয় নেতিবাচক প্রভাব। দরপতন হয় একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৪০ পয়েন্ট পড়ে যায়। বুধবারের সেই দরপতনের ধারা অব্যহত থাকে বৃহস্পতিবারও। এদিন লেনদেনের শুরুতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন ঘটে। ফলে দিন শেষ মূল্য সূচকের বড় পতনের মাধ্যমে লেনদেন শেষ হয়।

এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দরপতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ৮৪টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দাম।

Advertisement

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৩ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৮২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৩ পয়েন্ট কমে দুই হাজার সাত পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। বাজারে দিনভর লেনদেন হয়েছে ৯৯২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় এক হাজার ২৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা। সে হিসেবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৩১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাবমেরিন কেবলসের ৩৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুন্নু সিরামিক।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- গ্রামীণফোন, এশিয়া ইনস্যুরেন্স, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রভাতী ইনস্যুরেন্স, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, ইনটেক লিমিটেড এবং খুলনা পাওয়ার।

Advertisement

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ১২৩ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৮১৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৬৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৯টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দাম।

এমএএস/এএইচ/পিআর