দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) অচলাবস্থা নিরসন ও শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন সাইফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী। সাইফুল ইসলাম হাবিপ্রবির মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
Advertisement
সাইফুল ইসলাম বলেন, হাবিপ্রবির অচলাবস্থা নিরসন ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু না হওয়া পর্যন্ত আমি অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। আগামী শনিবার পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করব আমি। এরপরও যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে আগামী রোববার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেব।
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, এতেও যদি অচলাবস্থা নিরসন ও শিক্ষা কার্যক্রম চালু না হয়, তাহলে সোমবার থেকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ না পাওয়া পর্যন্ত তার কার্যালয়ের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
এ ব্যাপারে সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, খুব দ্রুত প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের অচলাবস্থার নিরসন হবে এবং আমরা দ্রুত ক্লাসে ফিরতে পারব বলে আশা রাখছি।
Advertisement
এর আগে গতকাল বুধবার হাবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবিতে মহাসড়কের দুই পাশে হাঁটু গেড়ে কান ধরে অভিনব প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
গত ১৪ নভেম্বর থেকে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, সহকারী অধ্যাপকদের লাঞ্ছিত ও নারী শিক্ষিকাদের শ্লীলতাহানির বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রেজিস্ট্রার ও ছাত্র উপদেষ্টার বহিষ্কার ও দুই সহকারী অধ্যাপকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করছেন নতুন পদোন্নতিপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপকরা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামও।
গত আড়াই মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলনে থাকায় হাবিপ্রবির অধিকাংশ ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে সৃষ্টি হয়েছে অচল অবস্থা। অনেক শিক্ষার্থী পড়েছেন সেশনজটে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সফিকুল আলম বলেন, আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমাধান হয়নি। আলোচনার পথ বন্ধ হয়নি, নতুন করে আলোচনা হবে।
Advertisement
এমদাদুল হক মিলন/এএম/পিআর