সাংবাদিকদের ‘হুইসেল ব্লোয়ার’ বলে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট। নদী দখল মুক্ত করা সংক্রান্ত রায় ঘোষণার সময় এ কথা বলেছেন আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার তুরাগ নদরক্ষা ও দখলমুক্ত করার রিটের রায়ের একপর্যায়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বলেন, সংবাদপত্র সমাজের নানা অনিয়মের তথ্য তুলে না ধরলে আমরা সেসব অনিয়ম সম্পর্কে জানতেই পারতাম না। এজন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই।
সাংবাদিকদের কাছ থেকে আরও কার্যকর (ইফেকটিভ) সাংবাদিকতা প্রত্যাশা করেন বলে জানান আদালত। হাইকোর্ট বলেন, ‘তবে এটাও বলতে হয় যে, আমাদের দেশে এখন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নেই বললেই চলে।’
তুরাগ রক্ষা সংক্রান্ত রিটের এ রায় ঘোষণার জন্য আবারও ৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
Advertisement
এর আগে বুধবার হাইকোর্টের এই বেঞ্চ তুরাগ নদকে ‘লিগ্যাল পারসন’ বলে ঘোষণা করেন, যা দেশের সব নদ-নদীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
উচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে দেশের নদ-নদীর কিছু আইনি অধিকার স্বীকৃত হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
এর আগে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে করা এক রিটে তুরাগ নদের অবৈধ দখলদারদের নাম ও স্থাপনার তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেছিল বিচার বিভাগীয় একটি তদন্ত কমিটি। ওই তদন্ত কমিটির দেয়া তালিকায় আসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা পরে এ মামলায় পক্ষভুক্ত হন। পরে উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বুধবার রায় ঘোষণা শুরু করেন।
এফএইচ/এনএফ/জেআইএম
Advertisement