অনেকদিন ধরেই ফুসফুস ক্যান্সারসহ বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছেন দেশের বর্ষীয়ান সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী। গুরুতর অসুস্থ হয়ে ২২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন এই সুরের জাদুকর।
Advertisement
বরেণ্য সুরকার ও সংগীতপরিচালক আলাউদ্দিন আলীর বর্তমান শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জানালেন তার কন্যা সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীন। তিনি বলেন, ‘বাবার ফুসফুস এর ইফেকশন কমেছে, ওষুধ ছাড়াই ব্লাড প্রেসার স্টেবল হয়েছে, চোখ খুলে তাকাচ্ছেন, তবে এখনো সেন্স ফিরে আসেনি, নিজ থেকেই শ্বাস নিতে পারছেন, তবে ভেন্টিলেশন এখনো খোলা হয়নি। সবাই্ বাবার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।’
প্রসঙ্গত, আলাউদ্দীন আলী ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আলাউদ্দিন তার পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতে শিক্ষা নেন। ১৯৬৮ সালে তিনি যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন এবং আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন।
এরপর তিনি প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সালে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। তিনি 'গোলাপী এখন ট্রেনে' ছবির জন্য ১৯৭৯ সালে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
Advertisement
তার সুর করা গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্যা একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়, দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়, হয় যদি বদনাম হোক আরো, আছেন আমার মোক্তার, আছেন আমার ব্যারিস্টার ইত্যাদি কালজয়ী সব গান।
এমএবি/এলএ/আরআইপি