আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে সফল হওয়ার পুরস্কারস্বরূপ বর্তমান সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে মনে করছেন শেখ মো.আবদুল্লাহ।
Advertisement
তিনি বলেন, নিজেকে একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে প্রমাণ করতে পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যোগ্য মনে করে এ দায়িত্ব দিয়েছেন।
বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে রেলিজিয়াস রিপোর্টার্স ফোরামের (আরআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে গল্পচ্ছলে এ কথা বলেন।
দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক পদে থাকাকালীন ধর্মনিরপেক্ষতার অপব্যাখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণকারী সংঘবদ্ধচক্রের বিরুদ্ধে কীভাবে দেশে-বিদেশে ইতিবাচক জনমত গড়ে তুলেছিলেন সে সম্পর্কে বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
Advertisement
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। এ কারণে বিরোধীরা অনেকেই অপপ্রচার চালিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ ইসলামবিরোধী দল। তারা ক্ষমতায় আসলে মসজিদে আজান হবে না, উলুধ্বনি হবে।
এ বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা দূর করতে তিনি উদ্যোগ নেন বলে জানান।
‘আসলে ধর্মনিরপেক্ষতা হলো ধর্মকে নিরপেক্ষ রাখতে হবে। নিজ ধর্মের লোকজন যেমন ধর্মপালন করতে পারে তেমনি অন্য ধর্মের লোকও তাদের ধর্ম সুচারুভাবে পালন করতে পারবে, সে সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কেউ যেন বাধার সৃষ্টি করতে না পারে। সহ-অবস্থানমূলক সুন্দর ব্যবস্থার নামেই ধর্ম নিরপেক্ষতা,’- বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর থাকাকালীন তিনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বিষয়টি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যাপক জনসমাগম করে আওয়ামী লীগ যে ইসলামে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী দল তা প্রমাণ করি। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে ওই অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার খতিবকে প্রধান অতিথি করে আনা হয়। ওই সময় তার নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করে লিয়াজোঁ করে সৌদি রাজার অনুমতি সাপেক্ষে মক্কা ও মদিনার খতিবকে দেশে আনেন তিনি। মক্কা ও মদিনার খতিবরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ও ইসলামের পক্ষে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেন।
Advertisement
এ ছাড়া কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে সোহরাওয়ার্দীতে ব্যাপক সমাবেশের নেপথ্যেও প্রধান ভূমিকা পালন করেন তিনি। এ কথা জানিয়ে শেখ মো.আবদুল্লাহ বলেন, মূলত এ দুটি কাজে খুশি হন প্রধানমন্ত্রী। পুরস্কারস্বরূপ তাকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন।
গত ৭ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলছেন, তিনি নিজে দুর্নীতি করবেন না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেবেন না। জানালেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি গত এক বছর যাবৎ বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিবাদমান সমস্যা দূর করেন তিনি। একইদিন সম্মিলিতভাবে ইজতেমা পালনে দুই পক্ষকে রাজি করিয়ে তিনি আরেকবার সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণ দেন।
বুধবার আরআরএফ নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে শেখ মো.আবদুল্লাহ বলেন, এতদিন ঢাল-তলোয়ার ছাড়াই কাজ করেছি। এখনতো ঢাল-তলোয়ার (প্রতিমন্ত্রীর পদ) পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
এমইউ/জেডএ/বিএ