ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের এক নেতাকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। মারধরে আহত ছাত্রদল নেতা শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বোরহান উদ্দীন খান সৈকত। আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল থেকে প্রার্থী হওয়ার কথা রয়েছে তার।
Advertisement
আহত বোরহান অভিযোগ করেন, তিনি ব্যক্তিগত কাজে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে আসছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী তাকে অনুসরণ করছিল। একপর্যায়ে সে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে বের হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার উপর রড, স্টাম্প, লাঠি দিয়ে হামলা করে। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
তিনি আরও বলেন, ১০ থেকে ১২ মিনিট পর জ্ঞান ফিরলে তিনি হেঁটে প্রক্টর অফিসে আসেন। দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য প্রক্টরকে জানান। কিন্তু সেখানে উপস্থিত থাকা এক সহকারী প্রক্টর কটাক্ষ করে তাকে বলেন যে, তোমার জন্য প্লেন আনব? পরে প্রক্টর টিমের সদস্যরা তাকে ঢামেকের গেইটে রেখে আসে। পরে তিনি হেঁটে মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসা নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার সিদ্দিকী বলেন, আজও আমাদের জহুরুল হক হলের যুগ্ম আহ্বায়ককে মারধর করেছে ছাত্রলীগ। এটা কী নির্বাচনের পরিবেশ হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার বলার পরও তারা সবার জন্য সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি।
Advertisement
অভিযোগের বিষয়ে সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি। তবে এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নেই।
এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, সে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বোরহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কি-না সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রক্টর। তিনি বলেন, তার আচরণ সন্তুষ্টজনক ছিল না। তাছাড়া সে কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি।
এর আগে বোরহান জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন তিনি ডাকসু নির্বাচনে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে সহ-সভাপতি পদে ছাত্রদলের হয়ে লড়বেন। সে লক্ষ্যেই তিনি কাজ করছেন।
এমএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ
Advertisement