অর্থনীতি

পোশাক শ্রমিকদের কল্যাণে পদক্ষেপ : জার্মানীর সন্তোষ প্রকাশ

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে গৃহীত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জার্মানী। শিল্প কারখানায় যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনায় বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জার্মান সোস্যাল অ্যাক্সিডেন্ট ইন্স্যুরেন্স।বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানে ফায়ার সেফটি ডোর ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি আমদানি শুল্কমুক্ত করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে তৈরি পোশাক শিল্পের বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটি, ইলেকট্রিক সেফটি এবং শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মবান্ধব পরিবেশেরও প্রশংসা করেছে জার্মানী ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। জার্মানী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রসারে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।  জামার্নীর বার্লিনে অনুষ্ঠিত দি ফেডারেল মিনিস্ট্রি অফ ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এবং জার্মান সোস্যাল অ্যাক্সিডেন্ট ইন্স্যুরেন্স-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তৈরি পোশাকের প্রডাকশন চেইনের কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের চারদিনের সভায় আলোচকরা বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্যানেল আলোচনা ও দ্বিপাক্ষিক সভায় বলেন, বাংলাদেশে অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনা সফলভাবে মোকাবেলা করেছে সরকার। এ দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে আর কোনো শিল্পে দুর্ঘটনা ঘটেনি। শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সরকার, প্রাইভেট সেক্টর, শ্রমিকদের সংগঠন, ডেভলপমেন্ট পার্টনার, আইএলও, অ্যাকোর্ড, অ্যালায়েন্স একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ‘বাংলাদেশ অ্যাকশন প্ল্যান-২০১৩’-এ শ্রমিকদের অধিকার, কাজের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ সফলতার সাথে এ কাজগুলো সম্পন্ন করেছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও সংস্থার প্রধানগণ বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছেন এবং কারখানার নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশের প্রশংসা করেছেন। সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জার্মানী বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। জার্মানীর বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে ৯৪ ভাগই তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাক রপ্তানি ক্ষেত্রে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে একক দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই জার্মানীর অবস্থান। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে জার্মানী থেকে ম্যাশিনারিজ, ক্যামিকেল, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং ওষুধ আমদানি করে থাকে। সভায়  কী-নোট উপস্থাপন করেন জার্মানীর পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি ফুকটেল, প্যানেল আলোচকদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এছাড়া আইএলও প্রতিনিধি হুংবো, ইরোপিয়ান ইউনিয়নের ডিলারো, ইনকোটা-এর বার্নন্ট হিন্জম্যান, বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু, বিজিএমই-এর সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের ইনস্পেক্টর জেনারেল সৈয়দ আহমেদ এবং ন্যাশনাল কো-অডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডিউকেশন-এর সেক্রেটারি মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।এসএ/একে/আরআইপি

Advertisement