গল্পের শুরু আজ থেকে ১১ বছর আগে। মৃত্যুর মুখে থেকে ফিরে এসেছিলেন লিম। গাড়ি দুর্ঘটনায় এমনভাবে আহত হয়েছিলেন যে, তার শরীরের রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়া পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ১০ ইউনিট রক্ত ও ২ ইউনিট প্লেটলেটস সেই যাত্রায় প্রাণ বাঁচায় লিমের।
Advertisement
আরও পড়ুন: স্কুলে যাওয়ার অবিরাম লড়াই তাদের
সুস্থ হওয়ার কয়েক বছর পর পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দিতে নিজের শহর সিঞ্চুতে চলে যান লিম। সেখানেই প্রেমে পড়েন এক তরুণের যিনি, পেশায় একজন রাইস ডাম্পলিং বিক্রেতা। দুবছর সম্পর্কের পর বিয়েও হয় তাদের।
আরও পড়ুন: নাইকির জুতায় ফের ‘আল্লাহ’ লেখা
Advertisement
লিয়ান তাইওয়ানের বাসিন্দা। তাকে যিনি রক্ত দিয়েছিলেন তা বহু বছর ধরে জানার চেষ্টা করেও জানতে পারেননি তিনি।একদিন হঠাৎ করেই নিজেদের জীবনের সবচেয়ে ভয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে গল্প করছিলেন তারা। ১১ বছর আগের ঘটনা মনে পড়ায় বিচলিত হয়ে পড়েন লিম।
আরও পড়ুন: ১০ মিনিট দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে তিন তালাক
হাসপালাতে ফোন করে তার রক্ত দাতার নাম জানতে চান তিনি। হাসপাতাল কোনও ভাবেই নাম জানাতে চায়নি কারণ এটা তাদের গোপন রাখার নিয়ম। অবশেষে তারা জানায় দাতার পদবী ছিল লিয়ান। যা কিনা তার স্বামীরও পদবী।
এরপরই লিম কৌতূহলবশত তার স্বামীর আইডেন্টিফিকেশন নম্বর মিলিয়ে দেখেন। আর এতেই চমকে ওঠেন তিনি। ২০ বছর বয়স থেকেই নিয়মিত রক্ত ও প্লেটলেটস দান করে আসছেন লিয়ান। নিজের অজান্তেই বাঁচিয়ে ফেলেছিলেন হবু স্ত্রীর প্রাণ। তখন সেটা গোপন রাখলেও এখন দু'জনেই জানেন যে লিয়ানের কারণেই আজ সুস্থভাবে বেঁচে আছেন তার স্ত্রী।
Advertisement
টিটিএন/এমএস