আইন-আদালত

রাজাকারের নামফলক প্রত্যাহারের নির্দেশ হাইকোর্টের

খুলনার যশোর সড়ক থেকে খানে সবুর ও কুষ্টিয়া ইউনিভার্সিটির হল থেকে আজিজুর রহমান এ দুটি স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের নাম প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।আদেশের পর রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে রাশেদুল হক জাগো নিউজকে তথ্যটি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, এর আগে ২০১২ সালের ১৪ মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের শুনানিতে আমরা আজ একটি সম্পূরক আবেদন করে বলেছি যে, দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন সময়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী সড়ক ও স্থাপনার নাম স্বাধীনতা বিরোধীদের নামে থাকতে পারে না। তাই রাজাকার খানে সবুরের নামে খুলনার ঐতিহ্যবাহী যশোর সড়ক নাম প্রত্যাহার এবং কুষ্টিয়া ইউনিভার্সিটির হল আজিজুর রহমানের নাম প্রত্যাহার করার জন্য বলেছেন আদালত।তার আগে গত ২০১২ সালের ১৪ মে স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্মিত স্থাপনা ও সড়কের নামকরণ কেন বাতিল করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে খুলনায় খান এ সবুর রোড ও কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান মিলনায়তনের নামকরণ স্থগিত করে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোন সমাধান করেননি সংশ্লিষ্টরা। তাই হাইকোর্টে রিটের সঙ্গে সম্পূরক আবেদন করা হয়। ওই আবেদন শুনানির পর এই আদেশ দেন আদালত।স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে স্থাপনা-সড়কের নামকরণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থি-এ দাবিতে অধ্যাপক মুনতাসির মামুন ও লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।পরে শুনানি শেষে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ একটি রুল জারি করেন।স্বাধীনতাবিরোধীদের নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্মিত স্থাপনা ও সড়কের নামকরণ কেন আবৈধ ঘোষণা করা হবে না স্থানীয় সরকার সচিব, শিক্ষা সচিব, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থীদের সাক্ষ্যবহন করা বহুল পরিচিত খুলনার যশোর রোডের নামকরণ স্বাধীনতাবিরোধী খান এ সবুরের নামে করা হয়। আর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনের নামকরণ করা হয় শাহ আজিজুর রহমানের নামে।পরে লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির সাংবাদিকদের বলেন, যারা বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে তাদেরকে পুনর্বাসিত করতে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে রাজাকারদের নামে বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়কের নামকরণ করেছে।মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে ভবিষ্যতে আর কেউ যেন কোনো রাজাকারের নামে কোনো স্থাপনার নামকরণ করতে না পারে সেজন্য এই রিট করা হয়েছে বলে জানান রিটকারীরা।এফএইচ/এসএইচএস/পিআর

Advertisement