বাংলাদেশের কোচ থাকার সময় তিনি ছিলেন সর্বেসর্বা। টাইগারদের সাফল্য দেখে শ্রীলঙ্কাও চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বলতে গেলে হাতে পায়ে ধরে নিজেদের দেশে নিয়ে যায়, তাকে সব স্বাধীনতা দেয়ার কথা বলে। কথামতো কোচের সঙ্গে নির্বাচক কমিটিতেও রাখা হয়েছিল হাথুরুকে। যেমনটা তিনি ছিলেন বাংলাদেশে।
Advertisement
তবে বাংলাদেশে ঈর্ষণীয় সাফল্য পাওয়া হাথুরুসিংহে যেন জাদুর কাঠিটা এদেশে রেখেই চলে গিয়েছেন। শ্রীলঙ্কায় গিয়ে তেমন কিছু করে দেখাতে পারছেন না তিনি। তার অধীনে দলের সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারি।
যার ফলশ্রুতিতে দল নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে এই কোচকে। কোনো সফরে লঙ্কান একাদশ নির্বাচনের কাজটা এখন থেকে করবেন দলের ম্যানেজার আর অধিনায়ক, নির্বাচক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট এক বিবৃতিতে বলেছে, 'কোনো সফরে দল নির্বাচনের কাজটা করবেন টিম ম্যানেজার আর অধিনায়ক এবং সেটা জাতীয় নির্বাচক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে। ম্যানেজার, অধিনায়ক এবং নির্বাচক কমিটির সদস্যদের মত নিয়েই বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।'
Advertisement
শ্রীলঙ্কার স্পোর্টস আইন অনুযায়ী অবশ্য হেড কোচের দল নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার সুযোগ ছিল না। তবে হাথুরুর জন্য সেই আইন কিছুটা শিথিল করা হয়। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট প্রেসিডেন্ট থিলাঙ্গা সুমাথিপালা সেটাতে সম্মতি দিয়েছিলেন। যদিও তাতে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়নি। হাথুরুর আমলে ৪২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে লঙ্কানরা জিতেছে ১৪টি, হেরেছে ২৪টি। এবার তো তাকে সরিয়েই দেয়া হলো নির্বাচক কমিটি থেকে।
যদিও জানা গেছে, দল নির্বাচনে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বটা চালিয়ে যেতে পারবেন হাথুরু। তবে কোচ হয়ে আসার আগে তাকে সর্বেসর্বা করে রাখার যে আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, সেটা হারিয়ে তিনি শ্রীলঙ্কায় দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন কিনা, সংশয় কিন্তু তৈরি হয়েছে।
এমএমআর/পিআর
Advertisement