জাতীয়

একাদশ সংসদের যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ

দেশের অন্যতম দল বিএনপির বয়কটের মধ্যেই একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের যাত্রা আজ বুধবার শুরু হচ্ছে। বিকেল ৩টায় অধিবেশন শুরু হবে। এর আগে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

Advertisement

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার দলের সংসদ সদস্যদের দিক নির্দেশনা দেবেন। তবে এই অধিবেশন কতদিন চলবে তা এখনও জানানো হয়নি।

সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিন রাষ্ট্রপতি সংসদে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। পরে রাষ্ট্রপতির ওই ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব জানাতে সাধারণ আলোচনা হয়। তবে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মারা যাওয়ায় সংসদে শোক প্রস্তাব আনা হবে। আর তার স্মরণে আলোচনা হবে।

রাষ্ট্রপতির ভাষণ উপলক্ষে প্রধান বিচারপতি ছাড়াও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সংসদে যান। এজন্য সংসদের নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

Advertisement

সংসদের প্রথম অধিবেশনে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭৪ অনুযায়ী নতুন সংসদের প্রথম বৈঠকে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করতে হয়। এজন্য কমপক্ষে এক ঘণ্টা পূর্বে নোটিশ দিতে হয়। একজন প্রস্তাবক, একজন সমর্থক ও প্রার্থীর সম্মতি লাগে এতে।

সংসদের ডেপুটি সচিব নাজমুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন ছাড়াও প্রথম অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন, শোক প্রস্তাব, অধ্যাদেশ উত্থাপন (যদি থাকে), সংসদীয় কমিটি গঠন (যদি থাকে), সংবিধান বা আইন অনুযায়ী কোনো রিপোর্ট উপস্থাপন (যদি থাকে) ও রাষ্ট্রপতির ভাষণ থাকে। তবে রেওয়াজ অনুযায়ী প্রশ্নকাল থাকে না।’

আজ স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনের পর সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেয়া হবে। সংসদে স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তারা সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন। রেওয়াজ অনুযায়ী প্রত্যেক অধিবেশনেই পাঁচজন করে সভাপতিমণ্ডলী নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে একজন নারী সদস্যকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

এরপর ৫টি অধ্যাদেশ উপস্থাপন করা হবে। সংসদ অধিবেশন না থাকায় এই অধ্যাদেশগুলো জারি করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। এগুলো ক্রমান্বয়ে আইনে পরিণত করা হবে। এরপর থাকবে শোক প্রস্তাব। শোক প্রস্তাব শেষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেবেন। তার ভাষণের পরই সংসদ মুলতবি করা হবে।

Advertisement

গত ৩ জানয়ারি সংসদ ভবনের শপথকক্ষে চার ধাপে এমপিরা শপথ নেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবিধান ও কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী প্রথমে নিজে শপথ গ্রহণ করেন এবং শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। পরে অন্যদের শপথ বাক্য পাঠান করান।

এ ছাড়া বিএনপির ৬ জন ও ঐক্যফ্রন্টের ২ জন শপথ নেননি। সুতরাং এখনই সংসদের যোগ দিতে পারছেন না তারা।

এইচএস/এসআর/পিআর