আইন-আদালত

এমপিপুত্র রনির মামলার রায় আজ

বহুল আলোচিত রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলার রায় আজ বুধবার ঘোষণা করা হবে। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ঈমাম এই রায় ঘোষণা করবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাকসুদ বুধবার সকালে জাগো নিউজকে বলেন, রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের মামলার রায় আজ বুধবার দুপুরের পর ঘোষণা হতে পারে।

Advertisement

এই মামলার একমাত্র আসামি আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনি।

এর আগে ১৫ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। এ নিয়ে মামলার রায় ঘোষণার জন্য তৃতীয়বারের মতো দিন ধার্য করা হলো।

গত ৪ অক্টোবর মামলাটি রায়ের জন্য থাকলেও তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় সাক্ষ্য দেয়ার জন্য প্রয়োজন মনে করেন আদালত। ওইদিন রায় না দিয়ে ১৭ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তার পুনরায় সাক্ষ্য-জেরার জন্য দিন ধার্য করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ঈমাম।

Advertisement

এ ছাড়া গত বছরের ৮ মে এ মামলায় রায়ের জন্য দিন ধার্য থাকলেও আদালত মনে করছেন মামলাটির বিষয়ে অধিকতর যুক্তিতর্কের প্রয়োজন আছে। ফলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলার বিষয়ে অধিকতর যুক্ততর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন। এরপর মামলাটি ঢাকার অতিরিক্ত দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে নিউ ইস্কাটনে মদ্যপ অবস্থায় রনি নিজ গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এতে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান।

পরবর্তীতে হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম রমনা থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ে কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ২৪ মে মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ৩১ মে অ্যালিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে রনিকে গ্রেফতার করে। পরে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই রনিকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস।

Advertisement

২০১৬ সালের ৬ মার্চ রনির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সামছুন নাহার। মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ২৮ জন সাক্ষ্য দেন।

জেএ/এসআর/পিআর