যয়নাব আব্দুল গানি মুহাম্মাদ হুসাইন। ৭৬ বছরের বৃদ্ধা নারী। কুরআনের প্রেমে যার হৃদয়টা ভরপুর। গত ৭ বছরে তিনি কুরআনুল কারিমের পরিপূর্ণ ৩০টি পাণ্ডুলিপি হাতে লিখেছেন। একটি পাণ্ডুলিপি মাত্র ২৫ দিনে হাতে লিখে সম্পন্ন করেন যয়নাব।
Advertisement
প্রতিটি মানুষই ইসলামের জন্য কিছু না কিছু ভালো কাজ করতে চায়। কিন্তু প্রবল ইচ্ছা থাকার পরও অনেকেই ইসলাম মুসলমান ও কুরআনের জন্য কিছুই করতে পারে না। সে দিক থেকে যয়নাব আব্দুল গানি মুহাম্মাদ হুসাইন একটি সফল নাম।
৭৬ বছর বয়সের বৃদ্ধা যয়নাব আব্দুল গানি ৭ বছরে নিরলস পরিশ্রম ও ধৈর্যের সঙ্গে পবিত্র কুরআনুল কারিমের পরিপূর্ণ ৩০টি পাণ্ডুলিপি লিখতে সক্ষম হয়েছেন।
এমনিতে কুরআনুল কারিমের ৩০টি পাণ্ডুলিপি হাতে লেখা নিঃসন্দেহে কঠিন কাজ। আবার ২৫ দিনে কুরআনের একটি পরিপূর্ণ পাণ্ডুলিপি লেখা আরো বেশি কঠিন কাজ। এ কঠিন কাজটিও করতে সক্ষম হয়েছেন বৃদ্ধা যয়নাব।
Advertisement
যয়নাব আব্দুল গানি ৫ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের মা। মাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখা করা যয়নাব বিশ্বব্যাপী ধৈর্য ও কল্যাণকামী মানুষ হিসেবে অনুসরণযোগ্য।
মিসরের মুসা কাফর শাভীশ গ্রামে জন্ম নেয়া যয়নাব আব্দুল গানি’র বাবা মিসরের শিক্ষা বিভাগে কাজ করতেন। তিনি একজন হাফেজে কুরআনও ছিলেন।
যয়নাব আব্দুল গানি বর্তমানে মিসরের মিনিয়া অঞ্চলের আল-তালিন গ্রামে বসবাস করেন। গত ৭ বছর আগে হাতে কুরআনের পাণ্ডুলিপি তৈরির কাজে আত্মনিয়োগ করেন তিনি। কুরআন লেখার পাশাপাশি ৬ পারা মুখস্তও করেছেন। পুরো মুখস্ত করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।
কুরআন লেখার সময় হিসেবে তিনি রাতকে উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নিয়েছেন। রাতে ঘুম থেকে ওঠে প্রতি ৬ দিনে তিনি ১০০০ আয়াত লিখতেন।
Advertisement
আরও পড়ুন > ২৪ ঘণ্টা কুরআন তেলাওয়াত হয় যে মসজিদে
উল্লেখ্য যে, যয়নাব তার সন্তানের ওমরা যাওয়া উপলক্ষে মাত্র ২৫ দিনে কুরআনের একটি পুরো পাণ্ডুলিপি লিখে শেষ করেছিলেন। এ উদ্দেশ্যে যে, যাতে তার হাতে লেখা কুরআনের পান্ডুলিপিটি তিনি সন্তানের ওমরা সফরে দিতে পারেন।
ধৈর্য ও কল্যাণের কাজে সংসার ও সন্তান কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। ইচ্ছা শক্তি ও আল্লাহর রহমতই মানুষকে কল্যাণের পথে নিয়ে আসে। যয়নাব আব্দুল গানিই কল্যাণকামীদের অনুপ্রেরণা।
এমএমএস/পিআর