৯৯ ম্যাচে ৭৩ জয়। মরিনহোর সমান ৭৩ জয় নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে প্রথম একশো ম্যাচে জয়ের তালিকায় যুগ্মভাবে শীর্ষে ছিলেন গার্দিওলা। নিউক্যাসেলের বিপক্ষে জিতলেই সেটিকে নিজের করে নিতে পারতেন। কিন্তু ভাগ্যদেবতা তার সহায় হলো না। নিজের শততম প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে এসে নিউক্যাসেলের বিপক্ষে হারের মুখ দেখতে হলো তাকে।
Advertisement
কে বলবে এই সিটিই ম্যাচ শুরুর আগের ৬ ম্যাচে করেছে ২৮ গোল! অথচ শুরুটাও ছিল দারুণ। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই আগুয়েরোর গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারা কিন্তু মাঝপথে খেই হারিয়ে নিউক্যাসেল ইউনাটেডের মাঠে ১-২ গোলে হারতে হলো সিটিকে। এই হারে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের দৌড় থেকে লিভারপুলের থেকে আরও পিছিয়ে পড়লো তারা।
ডেভিড সিলভার পাস থেকে ম্যাচের ২৫ সেকেন্ডের মাথায় গোল করে বসেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো। ধরে নেয়া হচ্ছিল আবার বুঝি গোল স্কোরিং একটি ম্যাচ উপহার দিতে যাচ্ছে সিটি। দলটির বিপক্ষে ১৩ ম্যাচ খেলে ১৫টি গোল করেছেন এই আর্জেন্টাইন।
প্রথমার্ধের বাকিটা সময় বল নিজেদের দখলে রাখলেও তেমন কোনো সুযোগি তৈরি করতে পারেনি সিটি। প্রথমার্ধের অন্তিম মুহূর্তে ডেভিড সিলভার গোলমুখে শট নিলেও তা প্রতিহত হয় নিউক্যাসেল ডিফেন্ডারের গায়ে।
Advertisement
বিরতি থেকে ফিরে প্রথম পনেরো মিনিটে কয়েকটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল সিটি। ৫৯ মিনিয়ে সানের শট রুখে দেন বিপক্ষ দলের গোলরক্ষক। ৬৭ মিনিটেই সিটি ডেডলক ভাঙ্গেন নিউক্যাসের স্ট্রাইকার রনডন।
১-১ সমতায় থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে সিটি। কিন্তু ৭৯ মিনিটেই সব গড়বড় করে ফেলেন ফার্নানদিনহো। লংস্টাফকে ডি বক্সে ফাউল করে দলটিকে পেনাল্টি উপহার দেন এই ব্রাজিলিয়ান।
স্পট কিক থেকে ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ একদমই মিস করেননি রিচি। তার গোলে ২-১ গোলের লিড নেয় নিউক্যাসেল। ম্যাচে আর কোনো গোল না হলে খালি হাতেই মাঠ ছাড়তে হয় সিটিকে। সব রকম প্রতিযোগিতায় ২২ ম্যাচ পর ম্যান সিটির বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখল রাফা বেনিতেজের দল।
আগামীকাল লিভারপুল লেস্টারের বিপক্ষে জিতলেই সিটির থেকে ৭ পয়েন্টে এগিয়ে যাবে। বলা যায়, এই হার সিটির প্রিমিয়ার লিগ স্বপ্নকে কঠিন করে তুললো।
Advertisement
আরআর/বিএ