২০২০ সালে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস’র (আসিয়ান) সভাপতি থাকবে ভিয়েতনাম। এ সময়ে ইতিবাচকভাবে আসিয়ানের সদস্য পদে বাংলাদেশকে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
Advertisement
মঙ্গলবার বাংলাদেশে সফররত ভিয়েরনামের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নয়েন কক ঝাং’র কাছে এ আহ্বান জানান তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যখন জি৭৭ এ সভাপতির পদে ছিল বাংলাদেশ তখন এই গ্রুপে চীনের যুক্ত হওয়ায় ফোরামটিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে বলেও দুই দেশের মন্ত্রীদ্বয়ের বৈঠকে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভিয়েতনামের নেতা হু চি মিনের সময়ে দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কের বিষয়টি তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশর স্বাধীনতার ইতিহাস একই ধরনের।
Advertisement
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক সফলতার প্রশংসা করেন। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের বাণিজ্য প্রায় ১০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং জাহাজ আমদানির প্রস্তাব দেন।
ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবেন বলে নিশ্চিত করেন। ভিয়েতনামের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে দ্বিতীয় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং দ্বিতীয় বাণিজ্যবিষয়ক যৌথ কমিটির বৈঠক নিয়ে তারা কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশটি রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আসিয়ান। দেশগুলো হলো- ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার ও ভিয়েতনাম।
জেপি/জেডএ/এমএস
Advertisement