নারী পরিব্রাজক নাজমুন নাহার বলেন, ‘ছোটবেলায় বাড়ির পাশের মাঠে পাখি ধরতে চাইলেই উড়ে যেত আকাশে। মনে হতো আমিও যদি এভাবে উড়তে পারতাম! তখন থেকেই ইচ্ছা, আমি যদি বিশ্ব ভ্রমণ করতে পারতাম। ছোট থেকেই আমি মানচিত্র দেখলে তাকিয়ে থাকতাম। আর ভাবতাম।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশ লেগে আছে তা দেখতাম। কোথাকার মুদ্রার নাম কি? রাজধানী কোনটা? এগুলো দেখে দেখে ভেতরে আকাঙ্খা তৈরি হত যে একদিন আমি বিশ্বভ্রমণে যাব। এভাবে আমার স্বপ্নই ছিল বিশ্ব ভ্রমণ করা। ছোটবেলায় স্বপ্নের মধ্যেও পাখিদের মতো উড়তাম। সেই ইচ্ছাই আজকে আমাকে এখানে নিয়ে আসছে।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানি দুবাইয়ে ভ্রমণ পিপাসু বাংলাদেশি নাজমুন নাহারের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএইউ। সোমবার (২৮ জানুয়ারি) স্থানীয় মমজার পার্কে এ আড্ডার আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রেস ক্লাব সভাপতি শিবলি আল সাদিক, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ রফিক উল্লাহ, যুগ্ম সম্পাদক কামরুল হাসান জনিসহ প্রেস ক্লাবের বিভিন্ন বিভাগের সম্পাদক ও সদস্যরা। এ ছাড়া আড্ডায় আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন প্রেস ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ স্কুল রাস-আল খাইমার প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ।
Advertisement
আরও পড়ুন> সবুজের বুকে লাল উড়বে মৌরিতানিয়ায়
এ আড্ডায় তিনি আমিরাত প্রবাসীদের আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হন। বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএইউ'র পক্ষ থেকে বিশ্ব দরবারে দেশের পতাকা উড়িয়ে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করায় তাকে অভিনন্দন জানান ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন সংগঠনটি। এরে আগে সকালে শারজাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিনন্দন জানিয়ে আমিরাতে স্বাগত জানান বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএই।
বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার গঙ্গাপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ১২ ডিসেম্বর ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন নাজমুন নাহার। ব্যবসায়ী বাবা মোহাম্মদ আমিন ২০১০ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। মা তাহেরা আমিন। তিন ভাই এবং পাঁচ বোনের মধ্যে নাহার সবার ছোট।
উল্লেখ্য, ঐতিহাসিক বিশ্বভ্রমণের রেকর্ড ছুঁয়েছেন নাজমুন নাহার। বাংলাদেশের এই গর্বিত নারী এখন পর্যন্ত লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন বিশ্বের ১২৫টি দেশে। বাংলাদেশের কোনো মানুষের এই প্রথম এতগুলো দেশ ভ্রমণ। ১২৫তম দেশ হিসেবে ভ্রমণ করেন নাইজেরিয়া। পৃথিবীর মানচিত্র এক সময় যার অধ্যয়নে এবং স্বপ্নের মধ্যে ছিল এখন তার হাতের মুঠোয়। ছোটবেলা থেকেই যে নারী স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশের পতাকা হাতে ঘুরবেন সারাবিশ্ব- আজ তার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
Advertisement
এমআরএম/আরআইপি