ফেনীর ছাগলনাইয়ায় সমাজচ্যুত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিন পরিবারের ১৫ সদস্য। মঙ্গলবার বিকেলে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে সমাজপতিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর যশপুর গ্রামের মকবুল আহাম্মদের ছেলে হেলাল উদ্দিন।
Advertisement
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার দিনমজুর বাবা মকবুল আহাম্মদের বাড়ি ও পুকুর মিলে ১০ শতাংশ জায়গা রয়েছে। ২০১৬ সালে আমার ছোট ভাই মনছুর আলম সুমন তার সম্পত্তি ভাগ করে দিতে সালিশে বসে। তিনি ছোট ভাইকে জায়গা ভাগ দিতে রাজি হলেও রেজিস্ট্রি দিতে অপারগতা জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাবা ও ছোট বোনের জামাই আবু বক্করের পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রহিম উল্যাহ ভূঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, নুরুল আলম, ফখরুল ইসলাম দিদার, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও খায়ের আহাম্মদের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন স্থানীয় মাতব্বর। পরবর্তীতে সমাজচ্যুত বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় আমার পরিবারকেও সমাজচ্যুত করেন তারা।
তিনি বলেন, সমাজপতিরা বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের পরিবারকে হয়রানি ও নির্যাতন করে আসছে। তাদের উস্কানিতে পার্শ্ববর্তী আরেক প্রতিপক্ষের লোকজন আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর, বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও গাছ কেটে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে স্বজনদের পরামর্শে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।
কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, বিগত প্রায় তিন বছর ধরে সমাজপতিদের রোষানলে পড়ে সমাজচ্যুত হয়ে মানবেতন জীবন-যাপন করছি। সামাজিক সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। সামাজিত কোনো আচার অনুষ্ঠানে আমাদের দাওয়াত দেয়া হয় না। ঈদের দিনও আমাদের সঙ্গে কেউ মেশে না। আমাদের ওপর অন্যায়ভাবে অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে মাসের পর মাস মানুষের ধারে ধারে ঘুরলেও কেউ বিচার করতে আসে না। এতে রাগে ক্ষোভে আমার বৃদ্ধ বাবা বাড়ি থেকে চলে গেছে।
Advertisement
তিনি ২০১৮ সালে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন নসু মিয়ার কাছে গেলে তিনি বিচারের কথা বলে আমার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে এখন পর্যন্ত বিচারে বসেননি।
রাশেদুল হাসান/এমএএস/আরআইপি