একটা সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য যা যা করণীয় একাত্তর পরবর্তী বামপন্থি রাজনীতিকরা তাই করেছিলেন। জাসদ-ন্যাপসহ যারা বাম রাজনীতি করতেন ৭২-৭৫ সালে তারা বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরোধীতা করেছিলেন। তবে কেন তরা এটা করেছিলেন? এর উত্তর তারাই ভালো দিতে পারবেন। তাদের ঔদ্ধত্য এমন পর্যায়ে ছিলো যে, বলা যায় জাতির পিতা হত্যার প্রেক্ষাপট তাদের হাতেই তৈরি।
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আজিমপুর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এ কথা বলেন।
হানিফ বলেন, আজকে শেখ সেলিমের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে বিএনপির বক্তব্যের সঙ্গে সুর মেলানোর যে অভিযোগ করা হচ্ছে-এটার কোন যৌক্তিকতা নেই। ইতিহাস যে যেখান থেকে দেখুক না কেন, ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সরকারকে অস্থিতিশীল করতে তারা হাট-বাজার লুট, ব্যাংক ডাকাতি, সাধারণ মানুষসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের এবং ঈদের নামাজ শেষে আওয়ামী লীগের এমপিদের হত্যা করার মতো বর্বরোচিত কর্মকাণ্ড করা হয়েছিলো। লক্ষ্য ছিলো একটাই বঙ্গবন্ধুর সরকারকে অস্থিতিশীল করতে হবে। সেই অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার কারণেই কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পেরেছিলো।
Advertisement
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজকে ঐ বাম সংগঠনের অনেক নেতারা ইতোমধ্যেই স্বীকারও করেছেন যে তারা সে সময় ভুল করেছিলো। কিন্তু সেই ভুলের মাসুল জাতিকে দিতে হয়েছে চড়া দামে।
হানিফ বলেন, ষড়যন্ত্র এখনও হচ্ছে। পাকিস্তানের নেতৃত্বে তাদের প্রিয় দল জামায়াত। বিএনপি ও খালেদা জিয়া আবার এ দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করেছিলো। গত ৩/৪ বছর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য নানা ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফারজানা আখতার সুপর্ণার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল, সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শামসুন নাহার বেগম, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন প্রমুখ।
এএসএস/এএইচ
Advertisement