রাজনীতি

ফের পেছালো কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ গঠন

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের তারিখ অষ্টম দফায় পেছানো হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার আসামিদের হাজির করতে একের পর এক সংশ্লিষ্টরা ব্যর্থ হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা দ্রুত মামলা শেষ করতে এ ব্যাপারে আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা চান। তবে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, সব আসামিকে হাজির না করা হলে চার্জ গঠন করার বিধান নেই। শুনানি শেষে মামলার চার্জ গঠনের পরবর্তী তারিখ আসামিদের অন্য মামলাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে জানানো হবে বলে আদালত জানিয়েছেন। মামলার অন্যতম আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজির শীর্ষ জঙ্গি মুফতি হান্নান অন্য মামলায় হাজিরার তারিখ থাকায় এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ কারণে মঙ্গলবার দুপুরে বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান মামলার অভিযোগ গঠনের তারিখ পিছিয়ে দেন।এ নিয়ে অষ্টম দফায় চার্জ গঠনের তারিখ পেছালো। এর আগে ২১ জুন, ৬, ১৪, ২৩ জুলাই, ৩, ১০ ও ১৮ আগস্ট সর্বশেষ মঙ্গলবার আলোচিত এই মামলার চার্জ গঠনের তারিখ পেছানো হয়। আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বহুল আলোচিত এ মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানি চলাকালে হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্ত হওয়া মেয়র জি কে গৌছসহ কারাগারে আটক ১৪ জন আসামির মধ্যে মাত্র পাঁচজন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা অন্য মামলায় হাজিরা থাকায় এবং অসুস্থতার কারণে হাজির হননি।গত ১১ জুন হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল­াহ আলোচিত এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার  ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু হবিগঞ্জ থেকে মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার  ট্রাইব্যুনালে আসার পর অসুস্থতাজনিত কারণে এ পর্যন্ত একদিনও আদালতে হাজির করা হয়নি সিসিক এর সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে।সরকার পক্ষে মামলার আইনজীবী সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে জানান, সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার পূর্ব নির্ধারিত চার্জ গঠনের তারিখ ছিল মঙ্গলাবার। কিন্তু মামলার অন্যতম আসামি বাবর, মুফতি হান্নান ও আরিফুল হক চৌধুরীকে আদালতে হাজির না করায় চার্জ গঠন হয়নি। আসামী পক্ষে মামলা শুনানি করেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল খালিক ও অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান।    গ্রেনেড হামলার এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য আব্দুর মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত মামলাটির অধিকতর তদন্ত করছেন সিআইডি সিলেট জোনের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল। ছামির মাহমুদ/এমজেড

Advertisement