সাম্প্রতিক সময়ে অফফর্ম এবং ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের সঙ্গে দূরত্বটা বেশ বেড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদের। পুনরায় জাতীয় দলে ফিরতে তার জন্য এসিড টেস্ট ছিলো এবারের বিপিএল। সে পরীক্ষায় পাস করেই মূলত নিউজিল্যান্ডগামী দলে সুযোগ পেয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এ পেসার।
Advertisement
সিলেট সিক্সার্সের হয়ে বিপিএলে সুযোগ পাওয়ার পর থেকেই অনুমান করা হচ্ছিলো বোলিং নিয়ে বাড়তি কাজ করতে পারবেন তাসকিন। কেননা সিলেটের কোচিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন ওয়াকার ইউনুসের মতো কিংবদন্তি পেস বোলার। ওয়াকারের কাছ থেকে নিজের বোলিং আরো ক্ষুরধার করার পরামর্শ পাবেন তাসকিন, এমনটাই ছিলো সকলের প্রত্যাশা।
মাঠের খেলায়ও দেখা যাচ্ছে সেই ছাপ। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত ১০ ম্যাচ খেলেছেন তাসকিন। উইকেটশূন্য ছিলেন মাত্র ২ ম্যাচে, ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন ২ ম্যাচে, ৩ উইকেট নিয়েছেন একবার। সবমিলিয়ে ১০ ম্যাচ শেষে ২০ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় সবার শীর্ষে ডানহাতি এ পেসার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাকিব আল হাসানের রয়েছে তার চেয়ে তিন উইকেট কম।
শুধু উইকেটসংখ্যা দিয়েই বোঝানো সম্ভব নয় তাসকিনের বোলিংয়ের উন্নতির বিষয়টা। মাঝে ১২৫-১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় বোলিং করা তাসকিন চলতি বিপিএলে নিয়মিতই করছেন ১৪০+ গতিতে বোলিং। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেকথ্রু এনে অধিনায়কের আস্থার পাত্রেও পরিণত হয়েছেন তিনি। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে চলতি বিপিএলে প্রায় প্রতি ১০ বলে (৯.৬) একটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন।
Advertisement
তার এমন প্রত্যাবর্তনে নিশ্চিতভাবেই রয়েছে কোচ ওয়াকার ইউনুসের বড় অবদান। তা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু ওয়াকার জানিয়েছেন ভিন্ন তথ্য। তার মতে তাসকিনের নিজের ইচ্ছা এবং ভালো করার তীব্র আকাঙ্ক্ষার কারণেই তিনি এখন অবস্থান করছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় সবার শীর্ষে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে সিলেটের অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপে ওয়াকার বলেন, ‘আমি তাসকিনকে নিয়ে কিছুই করিনি। তাসকিন নিজেই করেছে যা করার। সে খুবই পরিশ্রমী এবং খুব ভালো ছাত্র। সে যেকোনো মূল্যে জাতীয় দলে ফিরতে চায়। আপনার যদি এমন তীব্র ইচ্ছা থাকে এবং সেটার প্রতি কঠোর পরিশ্রম করেন তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনি সেটি পেয়ে যাবেন।’ এসময় তাসকিনের দলে ফেরার ইচ্ছা ও কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করে ওয়াকার আরও বলেন, ‘আমি আসলে তাসকিনের কিছুই পরিবর্তন করিনি। তবে এটা নিশ্চিত করেছি যাতে সে পরিশ্রম না কমায়। সে নিয়মিত যা করতো তাই করেছে। ভুললে চলবে না ইনজুরি থেকে মাত্রই উঠেছিল সে। তো এমন অবস্থায় মাঠে ফিরেই সেরা ছন্দ পাওয়াটা সহজ নয়। একটা সংশয় থাকেই। সেটি দূর করতে আপনার হয়তো একজন সাহায্য করার কাউকে দরকার হয়। ঠিক এই জিনিসটাই মূলত হয়েছে।’
এআরবি/এসএএস/আরআইপি
Advertisement