আন্তর্জাতিক

অতিরিক্ত সেলফি তোলা মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ : সমীক্ষা

সেলফি এখন আর অভ্যাস নয়, এটি একটি মাসনিক রোগে পরিণত হয়েছে। যখন-তখন, যেখানে-সেখানে মুখের ওপর স্মার্টফোন তুলে চলছে ফটোসেশন। তারপর সেই ছবি আপলোড হচ্ছে স্যোশাল মিডিয়ায়। লাইক বেশি পড়লে ভালো, না হলেই বাড়ছে উদ্বেগ, অবসাদ।

Advertisement

সেলফি ম্যানিয়া নিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে এমনই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছেন ভারতের একদল চিকিৎসক। দেশটির দৈনিক নিউজ১৮ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

সেলফির এই বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই এবং হায়দরাবাদে সমীক্ষা চালিয়েছেন ওই চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, স্মার্টফোনের হাত ধরে দিন দিন বাড়ছে সেলফি ম্যানিয়া। রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়ার আগে সেলফি তোলা যেন জরুরি কাজ। শপিং মলে কেনাকাটা হোক না হোক, কয়েক ডজন সেলফি তো তুলতেই হবে। বাদ যাচ্ছে না ওয়াশ রুমও। সেখানেও মোবাইলের ব্রাশ ফায়ারে উঠে যাচ্ছে পরপর সেলফি।

আরও পড়ুন : বিশ্বের বৃহত্তম ভার্চুয়াল কবরস্থান হতে যাচ্ছে ফেসবুক

Advertisement

নাক-ঠোট-চোখ-চুলের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে। পছন্দের সেলফি তুলতে ঝুঁকি নিতেও পিছপা হচ্ছেন না অনেকে। অনেক সময়ে যার পরিণতি হচ্ছে ভয়ানক। মানুষের মধ্যে নিজের ছবি তোলার এই অত্যধিক প্রবণতাই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে চিকিৎসকদের।

চিকিৎসকরা বলছেন

> সেলফিতে বাড়ছে উদ্বেগ

> আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছেন মানুষ

Advertisement

> স্যোশাল মিডিয়ায় বেশি লাইক না পেলে কমছে আত্মবিশ্বাস

> অন্যের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা

> শরীরী আকর্ষণ না বাড়াতে পারার দুশ্চিন্তায় সেলফিপ্রেমীরা

> বাড়ছে কসমেটিকস সার্জারির ঝোঁক

শুধু তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সেলফির ক্যান্সার ছড়াচ্ছে সব বয়সীদের মধ্যে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, দ্রুত সচেতনতা না বাড়ালে মারণরোগে পরিণত হবে এই সেলফি ম্যানিয়া।

এসআইএস/এমএস