নিজে রান পেয়েছেন, করেছেন ঝড়ো সেঞ্চুরি, জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। দলও জিতেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে, পৌঁছে গিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান। তবু কি-না ম্যাচ শেষে জানা গেলো এমন ব্যাটিংয়ের পরেও মন ভরেনি দক্ষিণ আফ্রিকান সুপারস্টার এবি ডি ভিলিয়ার্সের।
Advertisement
তবে এর কারণ তার ব্যাটিং নয়, বরং চট্টগ্রামের এমন ব্যাটিংবান্ধব উইকেট! যেখানে হরহামেশাই বড় সংগ্রহ পাচ্ছে দলগুলো। ব্যাটসম্যানরা আধিপত্য বিস্তার করছেন নিরঙ্কুশভাবে। বোলারদের জন্য থাকছে না কিছুই। দলগুলো রান তুলছে ইনিংসপ্রতি প্রায় ১৮৫ গড়ে!
চট্টগ্রামে যাওয়ার আগে এবারের বিপিএলে সেঞ্চুরি হয়নি একটিও। অথচ চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম তিনদিনের ছয় ম্যাচেই দেখা মিলেছে চার-চারটি সেঞ্চুরি। যার সবশেষটি এসেছে রংপুর রাইডার্সের সাবেক প্রোটিয়া তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাট থেকে।
সোমবার ঢাকা ডায়নামাইটসের করা ১৮৬ রানের জবাবে ডি ভিলিয়ার্স খেলেছেন ৫০ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কার মারে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১৮৪ রানের অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে তার সঙ্গী অ্যালেক্স হেলস অপরাজিত ছিলেন ৫৩ বলে ৮৫ রান করে। ১০ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতেছে রংপুর।
Advertisement
কিন্তু এমন ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে খেলার উত্তেজনা কিংবা আবেদন থাকে না বলেই মন্তব্য করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, উইকেটে বোলারদের জন্যও কিছু থাকলে লড়াইটা হয় জমজমাট এবং উত্তেজনায় ঠাসা।
ডি ভিলিয়ার্সের ভাষায়, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেক রান হওয়াটাই স্বাভাবিক। দর্শকরাও এমনটাই চায়। তবু একদম একপেশে ব্যাটিং উইকেটে খেলাটা একঘেয়ে ও উত্তেজনাহীন হয়ে পড়ে। কারণ দুই দলের ব্যাটসম্যানরাই ইচ্ছেমত রান করে কিন্তু বোলারদের তেমন কিছুই করার থাকে না। আমি কখনো এমন উইকেট প্রত্যাশা করি না।’
এসময় নিজের সেঞ্চুরি নিয়ে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে সেঞ্চুরি করা আমাকে খুব বেশি উদ্বেলিত করে না। আমি যদি দলের হয়ে খেলা শেষ করে আসতে পারি, তাহলে সেটা আমার জন্য অনেক বড় কিছু। আমি আমার ক্যারিয়ারে মিডল অর্ডারেই বেশি খেলেছি। খেয়াল করে থাকবেন মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের অতো বেশি সেঞ্চুরি নেই, তাঁরা মূলত খেলাটা শেষ করে আসে। আমি গর্বিত যে আমি নট আউট থেকে খেলাটা জিতিয়ে আসতে পেরেছি।’
এআরবি/এসএএস/এমএমআর/পিআর
Advertisement