জাতীয়

এবার ফাঁকা নিকাহনামায় স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারণা

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়ারও ব্যবস্থা করেছিল প্রতারকচক্র। টাকা না দিয়ে কেউ যেন ছাড় না পায় সেজন্য জিম্মি অনেককে ফাঁকা নিকাহনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছিল প্রতারকচক্র।সোমবার রাতে রাজধানীর পল্লবী থানাধীন ডিওএইচএস এলাকা থেকে ৪৬ জন চাকরি প্রত্যাশী ভিকটিম উদ্ধার এবং প্রতারকচক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।আটককৃতরা হলেন, বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সিদ্দিকুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত সিভিল স্টাফ মো. জহিরুল ইসলাম, সহযোগী মো. স্বপন হোসেন ও এনামুল হক লিটন।উপজেলা সরকারি গেজেটেড কর্মকর্তা, সরকারি ডাক্তার, ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের প্রায় ৫০ জনের সীল, ৪৬টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও নিকাহনামা, ৬০ এমওডিসি (মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স কনস্টেবল) পদে চাকুরির আবেদন ফরম ও বিভিন্ন প্রার্থীর ৫২ টি মেডিকেল রিপোর্টের নথি উদ্ধার করা হয়।মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর বিভাগ) উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম।তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত সিদ্দিকুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম জানান, অপরাধীরা বিমানবাহিনীর অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জেলা হতে বেকার যুবকদের চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দিয়ে আসছিল।ইতোমধ্যে তারা বিমানবাহিনীর এমওডিসি ও সৈনিক পদে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেয়ার নাম করে সাইদুর রহমানসহ ৪৬ জনকে পল্লবীর ডিওএইচএস এর ৯ নং রোডের একটি বাসায় জিম্মি করে।

Advertisement

ডিবির এ উপ-কমিশনার আরো বলেন, প্রতারকরা প্রত্যেক ব্যক্তির নিকট থেকে প্রাথমিকভাবে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেয়। এরপর নিয়োগপত্র পেলে সবাইকে ৩ থেকে ৬ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জিম্মি করে।জিম্মি কেউ যেন টাকা না দিয়ে ছাড়া না পায় সেজন্য অধিকাংশের কাছ থেকে ফাঁকা নিকাহনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। যাতে পরবর্তীতে টাকা দাবিতে ওই ব্যক্তিকে নারী নির্যাতন আইনে হয়রানি করতে পারে।শেখ নাজমুল আলম আরো বলেন, প্রতারক ওই ৪ ব্যক্তিসহ আরো অনেকেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের একাধিক জেলায় এজেন্ট রয়েছে। ওই এজেন্টদের মাধ্যমে তারা চাকরি প্রত্যাশী ব্যক্তিদের ঢাকায় আনে।গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, গত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে চাকরি প্রত্যাশীদের জিম্মি করে রাখা হয়। তাদের পরীক্ষা বগুড়ায় হওয়ার কথা থাকলেও ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।জেইউ/এসএইচএস