লক্ষ্য ১৮৭ রানের। ৫ রানের মধ্যে সাজঘরে ক্রিস গেইল আর রাইলি রুশো। রংপুর রাইডার্সের সমর্থকরা তখন মহাদুশ্চিন্তায়, এমন ধাক্কার পর এত রান তাড়া করা সম্ভব!
Advertisement
তখনও যে এবি ডি ভিলিয়ার্স আর অ্যালেক্স হেলসের মতো দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান বাকি রয়ে গেছেন, সেটা হয়তো মনেই ছিল না অনেকের। নিজেদের দিনে তারা কি করতে পারেন, সেটা দেখা গেল আরও একবার।
ডি ভিলিয়ার্সের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি আর হেলসের সেঞ্চুরি ছুুঁইছুুঁই হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ঢাকার ১৮৭ রানের লক্ষ্য হেসেখেলেই পেরিয়ে গেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার রংপুর রাইডার্স। ১০ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে তারা।
৫০ বলেই সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি ভিলিয়ার্স। এটি বিপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম আর এবারকার আসরের তৃতীয় সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ভিলিয়ার্স অপরাজিত থাকেন ১০০ রানেই, প্রোটিয়া ব্যাটিং দানবের যে ইনিংসটিতে ছিল ৮ বাউন্ডারি আর ৬ ছক্কার মার।
Advertisement
হেলসও খুব একটা পিছিয়ে ছিলেন না। ৫৩ বলে ৮ চার আর ৩ ছক্কায় ৮৫ রানের এক ইনিংস খেলে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়েন প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান।
এর আগে রনি তালুকদার আর কাইরন পোলার্ডের ব্যাটে চড়ে ৬ উইকেটে ১৮৬ রানের বড় পুঁজিই গড়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। ঢাকার ইনিংসে শুরুটাও ছিল বেশ দেখেশুনে। হযরতউল্লাহ জাজাই আর সুনিল নারিন ৩১ বলের ওপেনিং জুটিতে তুলেন মাত্র ৩৫ রান। ১৮ বলে ১৭ করে ফরহাদ রেজার শিকার হন জাজাই।
নারিন ঝড় তুলতে চেয়েছিলেন। ১৯ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ২৮ রানে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে ফরহাদেরই ক্যাচ বানান নাজমুল ইসলাম অপু। এরপর রনি তালুকদার আর সাকিব আল হাসান ৫৪ রানের জুটিতে দলকে অনেকটা এগিয়ে নেন।
১২ বলে ২৫ রান করা সাকিবকে বোল্ড করেন ফরহাদ রেজা। এরপর মারমুখী হয়ে উঠা আন্দ্রে রাসেলকে বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত এক ক্যাচও বানান তিনি। বোলার ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৮ বলে ১টি করে চার ছক্কায় ১৪ রান করেন রাসেল।
Advertisement
একের পর এক সঙ্গী হারালেও একটি প্রান্ত ধরে দারুণ খেলে গেছেন রনি তালুকদার। তুলে নিয়েছেন হাফসেঞ্চুরিও। ৩২ বলে ৬ চার আর ১ ছক্কায় ৫২ রানে তিনি যখন শফিউল ইসলামের শিকার হন, ইনিংসের তখন মাত্র ৪ ওভার বাকি।
পরের সময়টায় একাই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন কাইরন পোলার্ড। ধীরে শুরু করা ক্যারিবীয় এই ব্যাটসম্যান ২৩ বলে খেলেন হার না মানা ৩৭ রানের ইনিংস, যে ইনিংসে ৫টি চার আর ১টি ছক্কা হাঁকান তিনি।
এমএমআর/পিআর