আইন-আদালত

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয়ে পুলিশে চাকরি, জামিন মিলেনি

জাল সনদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের ‘ভুয়া পরিচয় দিয়ে’ পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে চাকরি নেয়া আবদুল মালেকের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া জাল সনদকে সঠিক মর্মে সত্যায়িত করে দেয়ায় সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকেও ভৎর্সনা করেছেন আদালত।

Advertisement

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জামিন সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

আদালততে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না, দুদকের পক্ষে আইনজীবী মো. নওশের আলী মোল্লা। আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন।

Advertisement

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জাগো নিউজকে জানান, ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর আসামি মালেক আগাম জামিন চাইলে হাইকোর্ট তাকে চার সপ্তাহেরর মধ্যে বগুড়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে গত ১৭ জানুয়ারি আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার বিবরণে দেখা যায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পূর্ব বিভাগের কনস্টেবল আবদুল মালেক মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নেন। বিগত ২০০১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে চাকরিপ্রাপ্ত হয়ে ২০০২ সালের ৩০ এপ্রিল চাকরিতে যোগদান করেন। সে শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১৯৯৮ সালে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার তেকানী চুকাইনগর এ এম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এসএসসি পাসের কথা উল্লেখ করেছে। আবেদনপত্রের সঙ্গে পিতা হিসেবে মো. আবদুর রাজ্জাকের মুক্তিযোদ্ধার সনদপত্র দাখিল করে।

সে মূলত এসএসসি পাস করেনি, তার পিতার নাম মো. আবদুস সাত্তার। জালিয়াতির বিষয়টি উদঘাটন হওয়ার পর দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। বর্তমানে সে কারাগারে আছেন।

এফএইচ/জেএইচ/পিআর

Advertisement