খেলাধুলা

অবাক কাণ্ড! শেষ ওভারে ইচ্ছে করেই তিনটি বলে রান নিলেন না পোলার্ড

রংপুর রাইডার্সের মিডিয়াম পেসার শফিউল ইসলামের করা শেষ ওভারে তিন তিনটি ডট বল হলো। এটুকু শুনে মনেই হতে পারে ওই তিন বলে ব্যাটসম্যান বুঝি রান করতে পারেননি। বা খেলতে গিয়ে পরাস্ত হয়েছিলেন কিংবা ব্যাটে বলে করতে পারেননি । আসলে তা নয়। ঢাকা ডায়নামাইটসের ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিক্রুট কাইরন পোলার্ড ওই তিন বলে ভালো মতোই ব্যাটে খেলেছিলেন। ইচ্ছে করেই রান নেননি।

Advertisement

কারণ পরিষ্কার, ননস্ট্রাইক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের ওপর আস্থা ছিল না পোলার্ডের। তাই ওয়াইড মিড উইকেট দিয়ে তুলে মেরে প্রথম বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে স্বেচ্ছায় দু দুটি ডট দিলেন।

প্রথমে লং লেগে সীমানার ধারে বল ঠেলেও সিঙ্গেলস নিলেন না। পরের বল লং অনে পাঠিয়েও ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডেলিভারিতে পর পর দু দুটি সিঙ্গেলস না নিয়ে চার নম্বর ডেলিভালিতে অবশ্য ঠিকই বাউন্ডারি হাঁকালেন। তারপর আবার পঞ্চম বলে লং অনে পাঠিয়েও প্রান্ত বদল করলেন না পোলার্ড। কিন্তু শেষ বলে ঠিকই এক রান নিলেন।

বিষয়টা দৃষ্টিকটু লাগলেও কাইরন পোলার্ডকে দোষারোপ করছেন না কেউ। কারণ অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান তার আগে একটি বিগ হিটও নিতে পারেননি। ৬ বলে ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। এর মধ্যে ১৯ নম্বর ওভারে শেষ দুই বলে স্ট্রাইক পেয়ে একটি রানও করতে পারেননি।

Advertisement

প্রথমবার শট কভারে ঠেলে রান নিতে ব্যর্থ। পরের বার রিভার্স স্কুপ করতে গিয়ে ব্যাটে বলে করতে ব্যর্থ সোহানের ওপর আস্থা কমে শূন্যতে নেমে এসেছিল পোলার্ডের। তাই আর তাকে স্ট্রাইক দেয়া যুক্তিযুক্ত মনে করেননি। নিজেই স্ট্রাইকে থেকেছেন।

অবশ্য শুধু কাইরন পোলার্ডের কথা বলা হলে কম হবে। বোলার শফিউলও শেষ ওভারে দুটি বল লেগ সাইডে করে বাউন্ডারি হজম ছাড়া বাকি চার বল যতটা সম্ভব ইয়র্কার লেন্থে ফেলার চেষ্টা করেছেন। যে কারণে দীর্ঘদেহী পোলার্ড একবারের জন্য লং অফ, লং অন বা মিড উইকেট দিয়ে তুলে মারার সুযোগ পাননি।

এআরবি/এমএমআর/পিআর

Advertisement