প্রবাস

খামিস মুশাইতে জেদ্দা কনস্যুলেটের পাসপোর্ট সেবা সম্পন্ন

বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দার ব্যবস্থাপনায় গত ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি খামিস মুশাইতে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হয়েছে। স্থানীয় বাংলা মার্কেটের পশ্চিম পার্শ্বের এলাকায় এ সেবা দেয়া হয়। প্রায় ১৫ দিন আগ থেকে জাগো নিউজ, প্রবাস মেলাসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও প্রবাসীদের দ্বারা হ্যান্ড বিলের মাধ্যমে কনস্যুলেট সেবার সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় দু’দিন যাবৎ বিপুল পরিমাণ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমাগম হতে দেখা যায়।

Advertisement

খামিস মুশাইতসহ পার্শ্ববর্তী এলাকা তথা আবহা, মাহাইল, দরব, নাজরান, জিজান, আল নামাস, তানদাহা, ওয়াদিবিন, হাসবাল, সারাত আবিদা, হারাজা, জাহারান আল জুনুব, তরিব ও তাছলিস থেকে আগত প্রবাসীদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। কনস্যুলেট সেবার কথা সকাল ৮টায় থাকলেও ফজরের পর থেকে প্রবাসীদের সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

কনস্যুলেট টিমের আন্তরিকতা ও স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সহযোগিতায় সুশৃঙ্খলভাবে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হয়। কনস্যুলার মুজিবুর রহমান ও কনস্যুলার কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, এবারের খামিস ট্যুরে আমরা প্রায় দুই হাজার পাঁচশত প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবাসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সেবা প্রদান করি।

বিস্তারিত জানাতে গিয়ে তারা বলেন, দুইদিন যাবৎ এমআরপি ইস্যু করেন- ১৩৮০, বি আর সি ৩ ,আউট পাস ৫ ,সত্যায়িত করেন ২, নবায়ন ৩৫৯, এম আর পি ডেলিভারি দেন ৯২৭, সমস্যা জনিত ফাইল ১২টি এ ডাটাগুলোর জাগো প্রতিবেদকের সামনে পেশ করেন।

Advertisement

সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি ফজলে কবির বলেন, এবারের খামিস ট্যুরে ৪৫ লাখ টাকার ওয়েজ আর্নার্স বন্ড ও ৩৫টি অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ সম্পন্ন করা হয়। এ ছাড়া কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের কাছ থেকে আরো জানা যায়, ১২০টি ওয়েজ আর্নার্স মেম্বারশিপ কার্ডের কাজ সম্পন্ন করেছেন তারা।

কনস্যুলেট টিমের সঙ্গে স্থানীয় বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আজাদ রহমান, স্থানীয় কনস্যুলেট প্রতিনিধি আব্দুল হক ও কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

লাইনে দাঁড়ানো অনেক প্রবাসীরা আক্ষেপ করে বলতে শোনা যায়, যদি জেদ্দা কনস্যুলেটের নির্দিষ্ট অফিস যদি এই এলাকায় হতো তাহলে আমাদের এমন কষ্ট সহ্য করে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হত না। উল্লেখ্য, গত এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের মাধ্যমে জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল জেদ্দার সহায়তায় সৌদি আরবের মদিনা, জেদ্দায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে ‘প্রবাসী সেবা কেন্দ্র’বা এক্সপ্যাট্রিয়েটস ডিজিটাল সেন্টার (ইডিসি)’। সৌদি আরবের খামিস মুশাইত তথা আসির প্রদেশে ও বর্তমানে অনুরূপ প্রবাসী সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা বর্তমানে সময়ের দাবি।

এমআরএম/পিআর

Advertisement