ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল ছাত্র সংসদ নির্বাচন আগামী ১১ মার্চ। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দৃশ্যমান বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ছয়জন রিটার্নিং কর্মকর্তা, গঠন করা হয়েছে সাত সদস্যের আচরণবিধি প্রণয়ন কমিটি এবং ১৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ।
Advertisement
এ সব কমিটি ইতোমধ্যে নির্বাচনী কার্যক্রমও শুরু করেছে। এ ছাড়াও পাঁচ সদস্যের গঠনতন্ত্র সংশোধন ও যুগোপযোগীকরণ কমিটি ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষে গঠতন্ত্র সংশোধনে নিজেদের প্রস্তাবনাও জমা দিয়েছেন উপাচার্যের কাছে।
এদিকে নির্বাচনে ভোটার ও প্রার্থীদের সেশন কত থেকে শুরু হবে, নির্বাচনী আচরণবিধি কী থাকছে, তফসিল ঘোষণা কবে হবে-এসব বিষয়ে সিন্ডিকেটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে ছাত্র সংগঠনগুলো। আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী এ বডির সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে ডাকসু নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এজেন্ডাগুলো প্রথমে রাখা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে যেগুলো সিন্ডিকেট চূড়ান্ত করবে। আগামীকাল সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হবে।’
Advertisement
সংশ্লিষ্টরা জানান, ডাকসু নির্বাচনে অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় কত সেশন থেকে ভোট দেয়া ও প্রার্থী হতে পারবে শিক্ষার্থীরা-এটি নিয়ে গঠতন্ত্র পর্যালোচনা কমিটি একটি সুপারিশ দিয়েছে। সে সুপারিশের আলোকে সিন্ডিকেট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কারা প্রার্থী ও ভোটার হতে পারবেন।
এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদের নেতৃত্বাধীন আচরণবিধি প্রণয়ন কমিটি আচরণবিধির একটি সুপারিশ তৈরি করেছে। সেটিও উপাচার্যের কাছে দেয়া হয়েছে। প্রার্থী ও ভোটারের আচরণবিধি কী হবে, গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষক সংস্থার ভূমিকা কী হবে এসব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে সিন্ডিকেটে।
সিন্ডিকেটে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে নির্বাচনী তফসিল। এ সভা থেকে চূড়ান্ত করা হবে কখন হচ্ছে নির্বাচনের তফসিল। কবে থেকে নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিল করা যাবে, মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ ইত্যাদি।
প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের খসড়া যে আচরণবিধি তৈরি করা হয়েছিল, সেখানে আমরা বেশকিছু সংশোধনের দাবি জানিয়েছি। এখন দেখা যাক সিন্ডিকেট কী সিদ্ধান্ত নেয়।’
Advertisement
গঠতন্ত্র সংশোধন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করার পর তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে গঠনতন্ত্রে কিছু পরিবর্তন এনে উপাচার্যের কাছে দিয়েছি। সিন্ডিকেট সেগুলো দেখে পরিবর্তন পরিবর্ধন করে চূড়ান্ত করবে।’
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আগামীকাল সিন্ডিকেট সভা হবে। সেখানে ডাকসু নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো বিষয় চূড়ান্ত হবে।’
এমএইচ/এনডিএস/আরআইপি