অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য অভিযুক্ত হয়েছিলেন ভারতের অনিয়মিত অফ স্পিনার আম্বাতি রাইডু। জানুয়ারির ১৩ তারিখে সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয় ওই ম্যাচ। আইসিসির নিয়মানুযায়ী অবৈধ হিসেবে অভিযুক্ত হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে সেই পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিতে হয়।
Advertisement
কিন্তু আম্বাতি রাইডু আইসিসির নিয়ম পালন করেননি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেননি। সুতরাং, আইসিসির কাছে অ্যাকশন পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। সুতরাং, অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্বাতি রাইডুর বালিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আইসিসি।
ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে রিপোর্ট জমা না দেয়া পর্যন্ত তার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পরবর্তী কোনো সিদ্ধানও নেয়া হবে না। রিপোর্ট জমা দিলে, সেখানে যদি অবৈধ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে অ্যাকশন ঠিক না করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর যদি বৈধ প্রমাণিত হয়, তাহলে তিনি নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবেন।
সিডনিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ২ ওভার বোলিং করেছিলেন আম্বাতি রাইডু। ওই দুই ওভারেই দেখা গেছে, বোলিং করার সময় তার হাতের কনুই নির্দিষ্ট পরিমাণ ১৪ ডিগ্রির চেয়ে বেশি বেঁকে যাচ্ছে। যা আইসিসির নিয়মের ৪.২ ধারা অনুযায়ী অবৈধ অ্যাকশন।
Advertisement
তবে আইসিসি রাইডুকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করার ওপর নিষিদ্ধ করলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে তার বোলিং করার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০টি ওয়ানডে খেলে ফেললেও মাত্র ৯ ম্যাচে বোলিং করেছেন রাইডু এবং ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের কোনোটিতেই বোলিং করেননি।
আইএইচএস/এমকেএইচ