নাগরিক টিভির পর্দায় চলছে দুই বাংলার তারকাদের মধ্যে তুমুল লড়াই। এ লড়াই সৌন্দর্য্য, বিনোদন আর নাচ নিয়ে। একবার জয়ী হয় ঢাকা, তো আরেকবার কলকাতার তারকারা।
Advertisement
এরইমধ্যে বর্ণিল এ অনুষ্ঠানের ৬০টি পর্ব সম্প্রচার হয়েছে। কান্নাকাটি, ঝগড়াঝাটি- কী ছিল না সম্প্রচারিত পর্বগুলোতে! তবে ২৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে আয়োজনটির সেমিফাইনাল। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। থাকবে আরও বড় চমক।
বিশেষ এ ৪টি পর্ব সাজানো হয়েছে ভিন্ন আয়োজনে। ‘বাজলো ঝুমুর তারার নূপুর’ গত ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে সপ্তাহের প্রতি সোম, মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় প্রচার হচ্ছে নাগরিক টিভিতে।
সেমিফাইনালের পর্ব প্রসঙ্গে নাগরিক এর অনুষ্ঠান প্রধান কামরুজ্জামান বাবু বলেন, ‘গত ৬০টি পর্বতে আমরা দেখেছি দুই বাংলার ৩০জন তারকা অংশ নিয়ে এই মঞ্চকে কীভাবে লড়াইয়ের মঞ্চ তৈরি করেছেন। কীভাবে নিজেরা এক একটি কঠিন নাচ তুলে ধরেছেন। অনেকেই নাচতে গিয়ে নাচও ভুলে গেছেন! কেউ কেউ নতুন করে সুযোগ চেয়েছেন। কিন্তু বিচারকরা তাদের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।
Advertisement
সেমিফাইনালের এই চারটি পর্বে থাকছে কীভাবে এক একটি দল এই পর্যায়ে উঠে এসেছে এবং এখন কে কোথায় অবস্থান করছে সেগুলোর চিত্র।’
সেমিফােইনালের এই চারটি পর্বের পরেই শুরু হবে ফাইনাল পর্ব।
‘বাজলো ঝুমুর তারার নূপুর’-এর মূল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ও ভারত থেকে অংশগ্রহণ করেছেন ছয় জন করে মোট ১২ তারকা। বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন টিভি অভিনেত্রী ঈশানা, ভাবনা, জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া, স্পর্শিয়া, অমৃতা ও সাফা কবির। আর কলকাতা থেকে রিমঝিম, সোহিনী, এনা সাহা, লাভলী, তিথি ও প্রীতি।
এ রিয়েলিটি শোয়ের বিভিন্ন পর্বে লাইফ লাইনের তারকা হিসেবে আরও প্রতিযোগিতা করেছেন বাংলাদেশ থেকে জাকিয়া বারী মম, মাহিয়া মাহি ও সাদিয়া জাহান প্রভা। আর কলকাতা থেকে অংশ নিয়েছেন গীতশ্রী, পায়েল ও ঋ।
Advertisement
অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে প্রধান বিচারক হিসেবে আছেন বাংলাদেশের ইলিয়াস কাঞ্চন এবং কলকাতার শতাব্দী রায়।
বিভিন্ন পর্বে বাংলাদেশ থেকে অতিথি বিচারক হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন মৌসুমী, ফেরদৗস, আঁখি আলমগীর, তৌকীর আহমেদ ও সজল। অপরদিকে কলকাতা থেকে জোজো, অনিন্ধ, শ্রীলেখা মিত্র ও তনুশ্রী শংকর।
‘বাজলো ঝুমুর তারার নূপুর’-এর প্রতিটি পর্ব যৌথভাবে উপস্থাপনা করেছেন কলকাতার সৌরভ এবং বাংলাদেশের মাসুমা রহমান নাবিলা।
এমএবি/এমকেএইচ