গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১২১তম। যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত ২০১৯ সালের তালিকায় সাত ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। তাদের দেয়া তথ্যমতে, ২০১৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচকে ৫৫ দশমিক ৬ শতাংশ স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ।
Advertisement
গত বছরের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ পয়েন্ট বেশি পেয়ে বাংলাদেশের সাত ধাপ এগিয়ে গেছে। তাছাড়া এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৭তম। প্রতিষ্ঠানটি তাদের সূচকে জানিয়েছে, বাংলাদেশে সম্পত্তি অধিকার ও সরকারি নিষ্ঠার দিক থেকে এগোলেও পতন ঘটেছে বিনিয়োগ স্বাধীনতা ও রাজস্ব সক্ষমতার।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিন্তন গোষ্ঠী হেরিটেজ ফাউন্ডেশন তাদের প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে জানিয়েছে, দেশটির গত দুই দশকে বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনুমানিক ছয় শতাংশ। আর এর পেছনে রয়েছে মূলত ব্যক্তিখাতের খরচ ও স্থায়ী বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি।
মোট চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ক্যাটাগরি চারটির মধ্যে রয়েছে, আইনের শাসন, সরকারের আকার, নীতিনির্ধারণের কার্যকারিতা ও মুক্ত বাজার।
Advertisement
আইনের শাসন ক্যাটাগরির সম্পত্তির মালিকানা ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত শাখায় ৩৬ দশমিক ১, বিচার বিভাগের কার্যকারিতা শাখায় ৩৪ দশমিক ৫ ও সরকারের নিষ্ঠা বিভাগে ২৪ দশমিক ৪ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ।
সরকারের আকার নামক ক্যাটাগরিতে করের বোঝা শাখায় ৭২ দশমিক ৭, সরকারি ব্যয় শাখায় ৯৪ দশমিক ৫ ও রাজস্ব সক্ষমতা শাখায় ৭৭ দশমিক ৬ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ।
নীতিনির্ধাণের কার্যকারিতা ক্যাটাগরির ব্যবসায়িক স্বাধীনতা শাখায় ৫০ দশমিক ৯, শ্রমের স্বাধীনতা শাখায় ৬৮ দশমিক ২ মুদ্রানীতি শাখায় ৬৯ দশমিক ৯ পয়েন্ট পেয়েছে বাংলাদেশ।
তাছাড়া মুক্ত বাজার ক্যাটাগরির বাণিজ্য স্বাধীনতা শাখায় বাংলাদেশ পেয়েছে ৬৩ দশমিত ৩, বিনিয়োগ স্বাধীনতা শাখায় ৪৫ ও আর্থিক স্বাধীনতা শাখায় ৩০ পয়েন্ট পেয়েছে।
Advertisement
হেরিটেজ ফাউন্ডেশন প্রতিবছর ‘অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক’ প্রকাশ করে থাকে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মাত্রা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে আইনের শাসন, সরকারি আয়-ব্যয়ের পরিমাণ, নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নগত দক্ষতা এবং মুক্ত বাজার অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যগুলোকে ভিত্তি করে নম্বর হিসেব করা হয়।
সংস্থাটির প্রণীত ২০১৯ সালের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে ভারত। তালিকায় অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচকে ভারতের অবস্থান ১২৯তম। ভারতের চেয়েও দুইধাপ নিচে ১৩১তম অবস্থান আছে পাকিস্তান। তাছাড়া নেপালের অবস্থান ১৩৬ ও শ্রীলঙ্কার ১১৫তম। তবে চীনের অবস্থান তালিকায় ১০০তম।
তালিকায় বরাবরের মতো সবার ওপরে রয়েছে হংকং। এরপর রয়েছে সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। আর তালিকার নিচের দিকে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, কিউবা, ভেনেজুয়েলা, জিম্বাবুয়ে, কঙ্গো আর সুদান।
এসএ/এমএস