ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ১৯তম দিন রোববার পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে ২৬টি লিখিত অভিযোগ পড়লেও পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।
Advertisement
বাণিজ্য মেলায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ও ভোক্তা অধিদফতরের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরে বাংলা নগর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মেলার ইনচার্জ মো. আহাদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে কোনো ধরনের লিখিত অভিযোগ করেননি।’
একই দিন সন্ধ্যায় ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল জাগো নিউজকে জানান, ৯ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা শুরুর পর থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে ২৬টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
‘এসব লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাত প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ২৮ হাজার টাকা সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগকারীকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মেলায় এখন পর্যন্ত চারদিন অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ১৭ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
Advertisement
বাণিজ্য মেলা শুরুর আগে থেকেই এখানে দায়িত্ব পালন করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মেলার ইনচার্জ আহাদ আলী বলেন, ‘৯ জানুয়ারি মেলা শুরুর আগে থেকেই এখানে প্যাভিলিয়ন, স্টলসহ বিভিন্ন ধরনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। ওই সময় থেকেই আমরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত। বাণিজ্য মেলায় প্রতিটি মানুষ যাতে অবাধে আসতে ও যেতে পারেন, সেজন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’
‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি এখানে র্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মোতায়েন আছেন’- যোগ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আহাদ আলী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কোনো ধরনের হুমকিও নেই।’
তিনি বলেন, মেলার বিভিন্ন স্থানে ১৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। তল্লাশি চৌকি রয়েছে ২১টি। প্রতিদিন পুলিশের প্রায় ৫০০ সদস্য মেলায় দায়িত্ব পালন করছেন। মেলার পুরো এলাকাই নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। এখানে অপরাধ করার কোনো সুযোগ নেই।
Advertisement
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে মাসব্যাপী এ বাণিজ্য মেলা। মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল রয়েছে ৪১২টি। বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২ প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে।
পিডি/এমএআর/পিআর