প্রথম ম্যাচ জেতার পর টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। এরই মধ্যে প্রোটিয়া ক্রিকেটার আন্দিল পেহলুকাইয়োকে বর্ণবাদী মন্তব্য করার বেশ তোপের মুখেই ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।
Advertisement
শেষ পর্যন্ত চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার কারণে চতুর্থ ম্যাচে এসে খেলতে পারলেন না সরফরাজ। তার পরিবর্তে দলকে নেতৃত্ব দিলেন শোয়েব মালিক এবং নেতৃত্ব পেয়েই পাকিস্তানকে অসাধারণ এক জয় উপহার দিলেন তিনি। ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন ২-২ সমতা। ৩০ জানুয়ারি শেষ ম্যাচটি পরিণত হলো ফাইনাল রূপে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৬৪ রানে অলআউট করে দিয়ে মাত্র ৩১.৩ ওভারেই ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। হাতে বাকি ছিল ১৮.৩ ওভার (১১১ বল)। পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম-উল হক ৭১ রান করে এই বড় জয়ে দারুণ অবদান রাখেন।
জয়ের জন্য ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ইমাম-উল হক এবং ফাখর জামান মিলে গড়ে ফেলেন ৭০ রানের জুটি। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ফাখর জামান আউট হয়ে যান ৪৪ বলে ৪৪ রান করে। এরপর ইমাম-উল হকের সঙ্গে জুটি বাধেন বাবর আজম।
Advertisement
এ দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ৯৪ রানের বিশাল জুটি। এই জুটিতেই মূলতঃ জয়ের কাজ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু দুই দলের রান সমান হয়ে যাওয়ার পরই আউট হয়ে যান ইমাম উল হক। শেষে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরে ফিনিশিংয়ের কাজটা শেষ করে দেন সরফরাজের পরিবর্তে কিপিং করতে নামা মোহাম্মদ রিজওয়ান।
তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে ৪১ ওভারে মাত্র ১৬৪ রানেই অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। হাশিম আমলা ৫৯ এবং ফ্যাফ ডু প্লেসি ৫৭ রান করা সত্ত্বেও ১৬৪ রানে অলআউট হতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ১৮ রান করেন ফন ডার ডুসেন এবং ১১ রান করেন আন্দিল পেহলুকাইয়ো।
উসমান শিনওয়ারি ৭ ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। ২ উইকেট করে নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি এবং শাদাব খান। ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির এবং ইমাদ ওয়াসিম।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement