রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘রেল সাধারণ জনগণের বাহন, এটাকে উন্নত করার জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরও যদি রেলের প্রতি মানুষের আস্থা না থাকে, তাহলে খুঁজে বের করব কাদের কারণে সাধারণ জনগণ রেলের প্রতি আস্থা হারিয়েছে।’
Advertisement
রোববার (২৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরের সিআরবি জিএম কনফারেন্স রুমে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় রেল অবহেলার শিকার ছিল কিন্তু বর্তমানে অগ্রাধিকার ভিক্তিতে ধীরে ধীরে উন্নয়ন কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। ‘দোহাজারী-কক্সবাজার-গুনদুম রেললাইন’ প্রকল্পটি ট্রান্স এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে চীন, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। দেশের অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও শক্তিশালী করা হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড ট্রেন প্রকল্পটি চালু হলে ননস্টপে ৫৭ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে যে রেল লাইনগুলো ধ্বংস করা হয়, তা পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা চলছে। এ ছাড়া স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেলের সংযোগ হচ্ছে, আলাদা একটা রেললাইন ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী হয়ে চট্টগ্রামে আসবে। আখাউড়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশের আগরতলাও যুক্ত হচ্ছে। এভাবে রেলের উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে রেলের ঐতিহ্য ফিরে আসবে। তার জন্য দরকার সবার আন্তরিকতা, সততা আর কর্মদক্ষতা।’
Advertisement
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সমালোচনা করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা দেশকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পনা করেছে, গত ৩০ ডিসেম্বর জনগণ তাদের প্রতিহত করেছে। তাদের প্রতিহত করে জনগণ আবারও প্রমাণ করেছে দেশে বঙ্গবন্ধুর কন্যার দরকার আছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নে কাজ করছেন, কেউ যদি উন্নয়ন কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তাদের শাস্তি পেতে হবে।’
জেডএ/পিআর