‘মাদকের বিরুদ্ধে তারুণ্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে মাদকবিরোধী আলোচনা, কুইজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এ আয়োজন করে।
Advertisement
পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অডিটোরিয়ামে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ডক্টর এ.কে.এম সালাউদ্দিন। প্রধান আলোচক ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা। বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিকী, প্রক্টর মো. হাবিবুর রহমান, ড্রিম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রাখিল খন্দকার।
প্রফেসর ডক্টর এ.কে.এম সালাউদ্দিন বলেন, ‘দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে জন্য সরকারের আরও বেশি কঠোর হওয়া দরকার। মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে সচেতনতার পাশাপাশি পড়াশোনা ও গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।’
> আরও পড়ুন- অভিভাবকরা যে ভুলগুলো করে থাকেন
Advertisement
মুকুল জ্যোতি চাকমা বলেন, ‘তরুণরা আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত। তরুণদের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাবে। সেই তরুণরা যদি মাদকের ভয়াল থাবায় পড়ে তাহলে দেশের অগ্রযাত্রা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে জন্য তরুণদের সচেতনতার শিক্ষা সর্ব প্রথম দিতে হবে। সচেতনতাই পারে তরুণ সমাজকে মাদকের ভয়াবহতা থেকে দূরে রাখতে।’
রাখিল খন্দকার বলেন, ‘তরুণরাই পারে দেশকে বদলে দিতে। যেভাবে তরুণরা দেশকে শত্রুমুক্ত করেছিল; তেমনি তারুণ্যের গণজোয়ারই পারে দেশকে মাদকমুক্ত করতে। তারুণ্য মানে দুর্বার গতিতে সামনে এগিয়ে যাওয়া। তারুণ্যের হাত ধরেই দেশ মাদকমুক্ত হবে।’
অনুষ্ঠানে মাদকবিরোধী শপথ পাঠ করানো হয়। পরে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেরা ১০ জনকে পুরস্কার হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি দেওয়া হয়। দ্বিতীয় পর্বে মাদকবিরোধী তথ্যচিত্র দেখানো হয়। তাছাড়া মাদকবিরোধী মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উপহার দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসইউ/পিআর
Advertisement