জাতীয়

সংলাপের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাল যুক্তরাজ্য

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। একইসঙ্গে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

Advertisement

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেক।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে প্রায় একঘণ্টা মন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার।

বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি জানান, চলমান রাজনীতি, রোহিঙ্গা সংকট, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনাসহ বিভিন্ন বিষয়েই আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিদেশে পলাতক দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে ফেরানোর বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় তদারকি করছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা গণভবনে যাবেন কি-না আনুষ্ঠানিকভাবে তারা এখনও কিছু জানায়নি।

গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে গণফোরাম সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে সংশয়ে থাকা বিএনপি এরপর এই বৃহৎ বিরোধী জোট থেকে ড. কামাল হোসেনের মাধ্যমে আবারও সংলাপের আহ্বান জানালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে সাড়া দেন। এরপর ১ নভেম্বর সংলাপের উদ্দেশে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারা গণভবনে যান। এ বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের দাবি-দাওয়া শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন। তবে আলোচনা শেষ না হওয়ায় ছোট পরিসরে ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার সংলাপে গণভবনে যান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এরপর তারা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৮টি আসনে জয়লাভ করায় ব্যাপক কারচুপি ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

Advertisement

জেপি/জেএইচ/আরআইপি