বাবা হারানো ৯ বছরের ইয়াতিম শিশু টেকনাফের আব্দুর রহিম ও কুরআন নাজিলের দেশ সৌদি আরবের ৭৫ বছরের নারী মোনিসা বিনতে সায়িদ বিন জাফর আল-আলিয়ানি পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্ত করেছেন।
Advertisement
পড়া-লেখা না জানা মোনিসা ই-লার্নিং ডিভাইসের মাধ্যমে কুরআন তেলাওয়াত শুনে শুনেই দীর্ঘ ৯ বছরে পুরো কুরআন মুখস্ত করেছেন। আর শিশু আব্দুর রহিম মাত্র ৪ মাসে মুখস্ত করে পুরো কুরআন।
বৃদ্ধা মোনিসা ও শিশু আব্দুর রহিমের কুরআন যুদ্ধঅক্ষরজ্ঞান না থাকা বৃদ্ধা মোনিসা সৌদি আরবের আল-বাসায়ের শহরের আচির প্রদেশের অধিবাসী। তিনি ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসে শুনে শুনেই কুরআন পড়া শুরু করেন। প্রথমেই সে কুরআন মাজিদের ছোট ছোট সুরাগুলো মুখস্ত করতে থাকেন। সুরাগুলো মুখস্ত হয়ে গেলে তিনি তা বার বার তেলাওয়াত করতেন।
বৃদ্ধা মোনিসা ৩ পারা মুখস্ত করে সেগুলো বার বার তেলাওয়াত করার মাধ্যমে মুখস্ত অংশগুলো স্মরণ রাখার চেষ্টায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন।
Advertisement
এভাবেই বৃদ্ধা মোনিসা তার পরিবার এবং দারুল ইয়াক্বিন নামক কুরআন হেফজ সেন্টারের অনুপ্রেরণায় এ মহৎ কাজটি সহজে সম্পন্ন করতে সক্ষম হন।
অপর দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার হ্নীলা গ্রামের মৃত নুরুল আজিমের ছেলে আব্দুর রহিম ছোট্ট শিশু ৯ বছর বয়সে মাত্র মাসে পুরো কুরআন মুখস্ত করেন। মৃত নুরুল আজিমের ৪ সন্তানের মধ্যে আব্দুর রহিম তৃতীয়।
উল্লেখ্য যে, ইয়াতিম শিশু হাফেজ আব্দুর রহিমের পিতা নুরুল আজিম ৪ বছর আগে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় নৌকাডুবির ঘটনায় মারা যায়।
ইয়াতিম শিশু আব্দুর রহিমের লালন-পালনের দায়িত্ব নেন বৃদ্ধ দাদা ও দাদি। দাদা-দাদীর তত্ত্বাবধানে শিশু আব্দুর রহিম কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সংলগ্ন খানকায়ে হামিদিয়া এতিমখানা ও হেফজখানায় তাকে ভর্তি করে দেন।
Advertisement
ছোট্ট মেধাবী আব্দুর রহিম মাত্র ৪ মাসেই পুরো কুরআন মুখস্ত করে এক বৈঠকেই ওস্তাদদেরকে শোনাতে সক্ষম হন।
ছোট্ট আব্দুর রহিম বড় হয়ে ইসলামের খেদমতে নিজেকে নিয়োজিত করতে সবার দোয়া প্রার্থী। ছোট্ট আব্দুর রহিম ও বৃদ্ধা মোনিসার প্রতি রইলো শুভকামনা…
এমএমএস/এমএস