জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অফিস শনিবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে, তারা সৌদির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী রাষ্ট্র এবং ব্যক্তির প্রকৃতি এবং ব্যাপ্তি খুঁজে বের করবে স্বতন্ত্র প্যানেল।
Advertisement
বিচারবর্হিভূত, সংক্ষিপ্ত বা নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ বিষয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূত এগনেস ক্যালামার্ড বলেন, স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রক্রিয়ার জন্য তিনি আগামী সপ্তাহে তুরস্কে সফর করবেন। এই সফরে তিনি তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে যাবেন। ওই কনস্যুলেটেই গত ২ অক্টোবর ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি।
ওই দূতাবাসের ভেতরেই তাকে হত্যা করা হয়। সৌদির একটি কিলিং স্কোয়াড প্রিন্স সালমানের নেতৃত্বে তাকে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে।
এই ঘটনাকে সৌদি সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছে তুরস্ক। প্রথমদিকে খাশোগিকে হত্যার কথা অস্বীকার করলেও পরে সৌদির তরফ থেকে বলা হয় যে, দূতাবাসের ভেতরেই সংঘর্ষে জড়িয়ে নিহত হন খাশোগি। এই হত্যাকাণ্ডে ক্রাউন প্রিন্সের হাত রয়েছে এমন দাবিও প্রত্যাখ্যান করা হয়।
Advertisement
জাতিসংঘের ওই তদন্ত দলে থাকবেন ব্রিটিশ বিচারপতি হেলেনা কেনেডি এবং পর্তুগালের কোয়িমব্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনগত ও ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক এবং প্যাথলজি বিশেষজ্ঞ দুয়ার্তে নুনো ভিয়েইরা। এগনেস ক্যালামার্ডের সঙ্গে তারা জানুয়ারির ২৮ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ পর্যন্ত তুরস্কে সফর করবেন। এরপর আগামী জুনে এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ক্যালামার্ড জানিয়েছেন, তদন্তে যেসব তথ্য পাওয়া যাবে তা আগামী ১৯ জুন জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসে উত্থাপন করা হবে। মাত্র কয়েকদিন আগেই তুরস্কের তরফ থেকে এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে যে, সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তুরস্কের তরফ থেকে এমন ঘোষণার পরেই এবার জাতিসংঘও তদন্তের কথা ঘোষণা করল।
টিটিএন/এমএস
Advertisement